নাটকীয়তা আর রোমাঞ্চে শেষ হলো ওয়েলিংটন টেস্টের পঞ্চম দিন। শুরুতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও পঞ্চম উইকেটে হাল ধরে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন জো রুট। এরপর আবার ছন্দপতন। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের কাছে পর্যদুস্ত হয়ে ইংলিশরা তীরে এসে তরী ডোবায়।
শেষ দিন জয়ের জন্য ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল ২১০ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন বেন ডাকেট ও ওলি রবিনসন। দলীয় খাতায় ৫ রান যোগ হতেই টিম সাউদির সুইংয়ে কাবু হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রবিনসন (২)। সে ধাক্কা না সামলে উঠতেই টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ডাকেটও। ৪৩ বলে থামে তার ৩৩ রানের ইনিংস।
দলীয় ৮০ রানে ওলি পোপ (১৪) ও হ্যারি ব্রুককে (০) হারিয়ে চাপে পড়ে ইংলিশরা। তখনো জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৭৮ রান। ম্যাচ প্রায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। ফলোঅনে পড়া টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত লড়াইয়ে জয়ের স্বপ্ন জাগে কিউইদের। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাদের স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন জো রুট। বেন স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ১২১ রানের জুটি।
স্টোকস ঐতিহ্যগত টেস্ট খেলে গেলেও, আগ্রাসী ছিলেন রুট। দুজনের জুটিতে ইংলিশরা যখন জয়ের কাছাকাছি, ঠিক তখনই কিউইদের আবার লড়াইয়ে ফেরান নেইল ওয়েগনার। পর পর দুই ওভারে তুলে নেন স্টোকস ও রুটের উইকেট। ১১৩ বল মোকাবিলায় ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৫ রানে থামে রুটের ইনিংস। আর স্টোকস ১১৬ বলে করেন ৩৩ রান।
দলীয় ২১৫ রানে আউট হন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর জ্যাক লিচকে নিয়ে বেন ফোকস দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দল যখন জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে তখনই সাউদির বাউন্সে টপ এজ হয়ে ওয়েগনারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফোকস। ৫৭ বলে ৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হয় দুদল। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১ উইকেট। অন্যদিকে ইংলিশদের প্রয়োজন মাত্র ৭ রান।
জ্যাক লিচ ও জেমস অ্যান্ডারসন মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ৫ রান। ম্যাচ তখন অনেকটাই হাত ফসকে যায় কিউইদের। কিন্তু অদম্য মানসিক ইচ্ছা নিয়ে শেষ চেষ্টাটুকু চালিয়ে যান কিউই বোলাররা। ১৫ বল ধরে টিকে থাকা ইংলিশদের শেষ উইকেট অবশেষে ১৬তম বলে গিয়ে তুলে নিতে সফল হয় কিউইরা। ওয়েগনারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে স্বাগতিকদের জয় উপহার দেন অ্যান্ডারসন।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৬৭ রানের বড় জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply