সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

ইউজার ফী বাতিল করে বিনামূল্যে চিকিৎসার বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৮৭ Time View

লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাত থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মুক্ত করো!

সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখা চলবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি হাসপাতালে আগামী ১লা মার্চ হতে প্রাইভেট রোগী দেখার নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণের কথা বলে সরকার এই কাজের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে ফী নিয়ে রোগী দেখার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। বাংলাদেশে যেখানে প্রতি বছর চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে সেখানে সরকারের এই নতুন নিয়ম শ্রমিক কৃষক নিম্নবিত্তের জনগণের জন্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ কষ্টসাধ্য করে ফেলবে।

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও বাংলাদেশে রাষ্ট্র-সরকার-সংবিধান স্বাস্থ্যকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে কায়েম করেনি। ১৯৭২ সাল থেকে এদেশের শাসন ক্ষমতা একশ্রেণীর লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যখন যে ধরনের সরকারই গদীতে বসেছে তখন সে সরকার ব্যবসায়ীদেরই খেদমত করে এসেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবাখাতকে ধীরে ধীরে সংকুচিত করে সমগ্র চিকিৎসা সেবাখাতকে কর্পোরেট হাসপাতাল-প্রাইভেট হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওষুধ কোম্পানী ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ না দিয়ে সামরিকখাতসহ অনুৎপাদক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ দেশে জনসংখ্যা অনুপাতে ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়নি। মেডিকেল শিক্ষা ও চিকৎসা সেবাকে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা সেবাখাতে এক চরম লুণ্ঠন দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে।

চিকিৎসা সেবাখাতে সংঘটিত এই লুণ্ঠন দুর্নীতির সাথে একশ্রেণী ডাক্তারদের যোগসাজসের ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থায় সৃষ্ট নৈরাজ্যের কাছে জনগণ আজ জিম্মি। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা ও অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করার মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কোন প্রতিরোধ নেই। এদিকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ব্যবস্থাকে তুলে দিয়ে সরকার অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ইউজার ফী) চালু করেছে। এখন সরকারি হাসপাতালে অফিস সময় শেষে ফী বা ভিজিট দিয়ে রোগী দেখার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সমগ্র রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার এক পদক্ষেপ মাত্র।

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের নন-প্র্যাকটিসিং এলাউন্স দিয়ে জনগণের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করলে জনগণ বিশেষতঃ শ্রমিক কৃষক নিম্নবিত্ত জনগণ উপকৃত হতে পারতো। বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সরকার এই কাজ করতে পারতো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS