হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সার্কেল এসপি বললেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে শিবলু মিয়া নামের এক পুলিশ সদস্য গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় গাজীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসির ছাত্রী (২০) জানায়, একই গ্রামের মৃত রমিজ উল্লার পুত্র সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল শিবলু মিয়া (২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে সে অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবে বলে চুনারুঘাটের একটি হাসপাতালে তার গর্ভপাত ঘটায়। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের হোটেলে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে সটকে পড়ে জানা যায়, শিবলু বিবাহিত, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তানহা নামের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
ওই সময় তিনি অভিযোগ করেন শিবলু স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রেখে আরেক নারী পুলিশ সদস্য একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। শারমিন এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (সিলেট) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি এক পর্যায়ে আপোষে নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু তার পরে থেমে নেই তার এসব অপকর্ম। এ বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, শিবলুর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আজ তার ডাক্তারী পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান আমার কাছে কেউ আসেনি তবে আমি শুনেছি একটি মেয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে আইনের উর্ধ্বে কেউই নয় চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেল এসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই আপনার মাধ্যমে শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply