স্বর্গের শেষ সিঁড়িতে পৌঁছে গেলেন লিওনেল মেসি। গোল করলেন, করালেনও। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মেসি, জোড়া গোল জুলিয়ান আলভারেজের।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোল করে ও করিয়ে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন মেসি। সেমিফাইনালটা ছিল বিশ্বকাপে মেসির ২৫তম ম্যাচ, জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের সঙ্গে সমান সংখ্যাক ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন যুগ্মভাবে মেসি ও ম্যাথাউসের। ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে খেলতে নামলে মেসিই হয়ে যাবেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
পাঁচটা বিশ্বকাপে গোলের অ্যাসিস্ট করা একমাত্র ফুটবলারও এখন মেসি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও ডেভিড বেকহাম, প্রত্যেকে অ্যাসিস্ট করেছেন ৩টি বিশ্বকাপে। বাতিস্তুতার রেকর্ডে মেসি ভাগ বসিয়েছেন গোল করে, আর অ্যাসিস্ট করে ভাগ বসিয়েছেন পেলের রেকর্ডে। নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট (৬টি) এখন পেলে এবং মেসির।
সেমিফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও পেয়েছেন মেসি, এই নিয়ে বিশ্বকাপে মোট ১০ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। পুরস্কারটা নিতে গিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে মেসি বলেন, ‘প্রচণ্ড স্নায়ুচাপের ভেতরে থেকে এই ম্যাচটা শুরু করেছিলাম আমরা। আমরা জানতাম এমনটাই হবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা জানতাম ওরা মাঝমাঠে বলের দখল অনেক রাখতে চাইবে, কারণ, ওরা এই জায়গায় ভালো আর ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে এই জায়গাটায়। তাই আমাদের বল পেলেই দৌড়াতে হবে আর সুযোগ নিতে হবে। আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, যেমনটা সবসময়ই নেই।’
শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও মেসি বলেন, ‘পুরো বিশ্বকাপটা জুড়েই আমি খুব খুশি৷ আমার সৌভাগ্য যে, আমি এখন অনেক কিছু ঘটাতে পারছি। এই দলটা খুবই বুদ্ধিদীপ্ত, তারা জানে যখন কষ্ট করার সময় তখন কষ্ট করতে হয়।’
সবশেষে কোচ স্কালোনি ও তার দলের প্রশংসা করে মেসি বলেন, ‘আমাদের একদল ভালো কোচিং স্টাফ আছে, ওরা কোনো কিছুই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয় না। তারা ম্যাচে কী হবে সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানিয়ে দেয় এবং ঠিক তা-ই হয়। তাই আমরা কখনো বিভ্রান্ত হই না, কারণ, জানি এরপর কী হবে।’
১৯৯০’র ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার মতোই প্রথম ম্যাচটা হেরে ফাইনালে মেসির দল। তবে অন্তত এই জায়গায় বোধহয় ম্যারাডোনার পাশে বসতে চাইবেন না মেসি!
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply