
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। গুমের দুটি মামলা ও রামপুরা হত্যাকাণ্ডের একটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাদের হাজির করা হবে।
তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জানা গেছে, টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। গত ৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনার আবেদন জানান তিনি।
গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে ৩ সেনা কর্মকর্তাগুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে ৩ সেনা কর্মকর্তা
পরে আসামিপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য আজকের দিন ধার্য করে আদালত। এ মামলায় হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাতজন পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার রয়েছেন ১০ জন।
তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কেএম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
এছাড়া জেআইসি সেল বা আয়নাঘরে গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হয়। মামলায় গত ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউর তাজুল ইসলাম।
আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে পাঁচটি অভিযোগ তুলে বিচার শুরুর আবেদন জানান তিনি। এরপর ৯ ডিসেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবী দুলু আসামিদের খালাসের আরজি জানান। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
পতিত হাসিনার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালেপতিত হাসিনার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে
এ মামলায় মোট ১৩ জন আসামির মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী গ্রেপ্তার রয়েছেন।
এছাড়া পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক; ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হকও পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে জ্বলাই বিপ্লবের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউর। পরে আসামিপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরতে আজকের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও সাবেক মেজর মো. রাফাত বিন আলম। এছাড়া ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান পলাতক রয়েছেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply