দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে বিএনপি’র ঘোষনাকৃত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি’র নেতা কর্মীরা। সেই সাথে সুনাম ক্ষুন্ন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও বহিস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জোর দাবী জানান।
বীরগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ১৯ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, দিনাজপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, বীরগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু।
এ সময় তিনি বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ জাকির হোসেন ধলু’র বিরুদ্ধে বলেন, সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন ঘোষনার পূর্বে বিভিন্ন স্থানে বক্তব্যে বলেছেন ”ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ যেই পাক আমি তার সঙ্গেই দলের হয়ে কাজ করবো”। কিন্তু বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় হাই কমান্ড ৩ নভেম্বর ২৩৭ জনের মধ্যে মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু’কে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত ঘোষনা করে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ের লক্ষে মাঠে কাজ করার নির্দ্দেশ দিলে জাকির হোসেন ধলু ও তার সমর্থক গোষ্টিরা অপপ্রচার চালিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে প্রার্থীকে হেয় প্রতিপন্ন এবং দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশকে বিভ্রান্তমূলক বলে জনগনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গোর কাজে লিপ্ত হয়েছে। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে মশাল মিছিল করে আতংক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে বিএনপির প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ন করে তুলেছে। যা দলের জন্য ক্ষতিকারক।
গত ১৭ নভেম্বর ভুয়া, ভিত্তিহীন ও ব্যক্তি আক্রোশ মুলক তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করে ধানের শীষ প্রতীকের ঘোষনাকৃত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রতিপক্ষ জামায়াত প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। জামায়াত প্রার্থীর সাথে তার যে সক্ষতা রয়েছে তার অনেক প্রমান ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে রয়েছে। যাহা ইতি মধ্যে আমারাও দেখেছি।
মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু ২০০৯ সালে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর হতে দলীয় নেতা-কর্মীর বিপদে-আপদে পাশে রয়েছেন। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাদের পাশে থেকে তাদের ও পরিবারগুলীকে সহযোগিতা করেছেন ও বর্তমানেও করে যাচ্ছেন। সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু ও তার সঙ্গীরা বলছেন, মনঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আন্দোলন সংগ্রামে ছিলনা। এহেন মিথ্যাচার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরই সামিল। অথচ তিনি বীরগঞ্জের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার অনেক তথ্য প্রমান বর্তমান বিভিন্ন মিডিয়ায় পাওয়া যাবে। মনঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু সভাপতি হওয়ার পর হতে প্রতিবছর ব্যাক্তিগত অর্থায়নে শীতে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষকে কম্বল ও শীতবস্ত্র দিয়েছেন। ব্যাক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ৩০০ টি দুস্থ পরিবারের জন্য থাকার ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। বন্যায় টিন, পিলার, খাদ্য-বস্ত্র সহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে গেছেন। করোনাকালীন সময়ে দিয়েছেন বিভিন্ন অনুদান ও চিকিৎসা সামগ্রী। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দিচ্ছেন বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা। তিনি আল্লামা সাইদি সাহেবের রায়ের দিন গড়েয়ায় গোলাগুলিতে মৃত নিরঞ্জন রায়ের পিতাকে কর্মসংস্থানে জন্য ভ্যান গাড়ী সহ বিভিন্ন জনকে ভ্যান গাড়ী ও দোকানঘর দিয়েছেন। যা বীরগঞ্জ-কাহারোলের অন্য কোন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে এখন পযর্ন্ত সম্ভব হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দাবী করে বলেন, মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু ছাড়া বীরগঞ্জ-কাহারোলে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার মতো যোগ্য কোনো প্রার্থী নেই। আমরা নিশ্চিত মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু’র মাধ্যমে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে প্রথমবারের মতো এই আসনটি উপহার দিতে পারব। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও বহিস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দলের প্রান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জোর দাবী জানায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কাহারোল উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম ইসলাম, জেলা সদস্য ও বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম মাজু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জুলিয়াস জুয়েল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল করিম তাজু, জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহব্বায়ক লাইসুর রহমান লিপু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফজলে আলম শাহিন, উপজেলা মহিলা দল সভানেত্রী মাহফুজা বেগম, সাধারণ সম্পদক ইউপি সদস্য আঞ্জুআরা বেগম, পৌর মহিলা দল সভানেত্রী সাবেক কাউন্সিলার সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী, যুবদল নেতা আব্দুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ আকাশ চৌধুরী সহ দুই উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply