শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জন্য প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রর, প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি আরব দেশ ঋণখেলাপিদের নির্বাচন ঠেকাতে কঠোর উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর বাম পায়ে সফল অস্ত্রোপচার পিডিপি’র উদ্যোগে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দলের করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অনার্স ও ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রশিবিরের ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম’, শিক্ষিত ও সুন্দর দেশ বিনির্মাণে কাজ করার আহ্বান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক-এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জনাব মোহাম্মদ কায়সার আলম মজুমদার বাংলাদেশকে ম্যাক্রো-ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে আইএমএফ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ এর ছক কষা হয়েছিল নওফেলের বাড়িতে হাসিনার বিচারের রায়কে ঘিরে চলছে মহাপরিকল্পনা প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ওয়াটা কেমিক্যালস

আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জন্য প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রর, প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি আরব দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

যুদ্ধ–পরবর্তী গাজা নিরাপদ রাখতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জন্য নিজেদের প্রস্তাবে সমর্থন চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন প্রস্তাব দেয় ওয়াশিংটন। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন এক মাস ধরে কাতার, মিসর, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি তৈরি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি আরব দেশ।

দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ, অস্থায়ীভাবে গাজা শাসন করবে, এমন কোনো বোর্ড এখনো গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া গাজা শাসন প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো অন্তর্বর্তী ভূমিকাও রাখা হয়নি।

চীন ও রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুটি ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ। তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অধীনে থাকা বোর্ড অব পিস অংশটি পুরোপুরি প্রস্তাব থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে গত বুধবার রাতে প্রকাশিত সর্বশেষ খসড়ায়, যুক্তরাষ্ট্র ‘বোর্ড’ গঠনের বিষয়টি বহাল রেখেছে। তবে একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে কিছু অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি যোগ করেছে।

রাশিয়ার পাল্টা প্রস্তাব
গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করে জাতিসংঘে রাশিয়া নিজস্ব খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়ার জাতিসংঘ মিশন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে নিজেদের প্রস্তাবে বলেছে, ‘আমাদের খসড়ার উদ্দেশ্য হলো নিরাপত্তা পরিষদকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অভিন্ন অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম করা, যাতে টেকসই যুদ্ধবিরতি অর্জন সম্ভব হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, গাজা ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক সংস্থা বা বোর্ড অব পিসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রায় ২০ হাজার সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী (আইএসএফ) নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি এবং পুনর্গঠনের কাজ করবে। তবে এ বাহিনীতে কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও মিসরের মতো দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

তবে রাশিয়ার খসড়ায় বোর্ড অব পিস ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর বদলে জাতিসংঘের মহাসচিবকে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনীর জন্য ধারণা দিতে বলা হয়েছে। এতে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গত সপ্তাহে করা প্রথম খসড়া ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পাঠায়। তাতে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত গাজায় নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়। এ বাহিনীকে বোর্ড অব পিসের সঙ্গে কাজ করার কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ খসড়া নিয়ে এখন উত্তেজনার মুখোমুখি। এর মূল কারণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিষয়টি অনিশ্চয়তায় ঝুলে আছে। নিরাপত্তা পরিষদের রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব গভীর বিভাজনকে স্পষ্ট করে তুলেছে। এদিকে গাজার যুদ্ধবিরতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে এবং সেখানে মানবিক দুর্ভোগও বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুই দেশের প্রস্তাবেরই বাস্তব গুরুত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলছে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গাজায় আবারও শত্রুতা ও দুর্ভোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব নিয়ে ভোট এখনো বাকি। তবে যেকোনো একটি প্রস্তাবে ভেটো হলে বা জাতিসংঘের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের অভাব পরিস্থিতিকে বিপন্ন করতে পারে এবং শান্তি প্রচেষ্টাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS