সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

মাধবপুরে চড়া দামে সার কিনে হতাশ কৃষক, দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হবিগঞ্জের মাধবপুরে খোলা বাজারে সারের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, সার বিক্রির খোলা বাজারে সরকারের নির্ধারিত দাম মানা হচ্ছে না, যার ফলে তাদের পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা উঠছে। মাধবপুরে সার ডিলাররা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চলমান এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা জানান যে, সারের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপি সারের দাম প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ইউরিয়া সার প্রতি কেজি ২৭ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, টিএসপি সার ২৭ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, ডিএপি সার ২১ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, এমওপি সার ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সরকারি অনুমোদনের জন্য আগস্ট মাসে চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া সার ১ হাজার ৫০৫ টন, টিএসপি সার ৩০০ টন, ডিএপি সার ৩৫৫ টন, এমওপি সার ৫৫৬ টন বরাদ্দ হয়েছিল। তবে চলতি মাসে অনুমোদিত সারের পরিমাণ অনেক কম, যা বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করছে। কৃষকদের মতে, এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হচ্ছে, আর এর ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষকের অভিযোগ, গত অর্থবছরে প্রতিটি কেজি সারের ওপর অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। ইউরিয়া সার ৩ টাকা করে ১৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত, টিএসপি সার ৩ টাকা করে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, এমওপি সার ৫ টাকা করে ৫ লাখ টাকা, ডিএপি সার ৮ টাকা করে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে।

এই অতিরিক্ত টাকা মিলিয়ে চক্রটি প্রায় ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, যদি বাজারে সঠিকভাবে তদারকি করা হতো, তাহলে সার ডিলাররা এই ধরনের দামের সিন্ডিকেট তৈরি করতে পারত না। সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

জানা গেছে, মাধবপুরে ৩১টি মূল সার ডিলার এবং ১০২টি সাবডিলার রয়েছে। কৃষকদের মতে, সঠিক তদারকির অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। সাবডিলাররা এভাবে অবৈধভাবে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে। তদারকি করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিযুক্ত হলেও তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার জানান, সারের সঙ্কট নেই, নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। তবে, কিছু জায়গায় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS