শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন

নেপালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে জেন-জি তরুণদের বিক্ষোভের জেরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জন হয়েছে। রাজপথের বিক্ষোভে পুলিশের প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগে কাঠমান্ডুতে ১৭ জনসহ এই নিহতের সংখ্যা এখন ১৯ জন।

কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানাল জানিয়েছেন, সমাবেশ চলাকালীন রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হন।

পুলিশের বরাত দিয়ে নেপালের বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতেও দুইজন নিহত হয়েছে। ‘জেন জি’ পরিচিত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বিভিন্ন শহরে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে।

সোমবার বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারীসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারফিউ ঘোষণার পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি।

ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, কিছু এলাকায় এখনও বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষ থামেনি। কাঠমান্ডুর তিনটি পৃথক হাসপাতালে এখনও একশ জনেরও বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। সেখানকার জাতীয় ট্রমা সেন্টারে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালটির প্রধান সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. বদরি রিজাল জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউ বানেশ্বরের কাছে সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে কিছু মরদেহ রাখা হয়েছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। এই হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর দীপক পাউডেল বিবিসিকে বলেছেন, হাসপাতালে আনা বেশিরভাগ আহতের শরীরে গুলি লেগেছে।

বেশ কিছু মরদেহ নতুন বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালেও রাখা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসনের সহকারী প্রধান অনিল অধিকারী বলেন, বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিকে আনার পর তাদের অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

একইভাবে, সিনামঙ্গলের কেএমসি টিচিং হাসপাতালে একজন আহত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান নারায়ণ দাহাল। ক্রমেই আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিভিল হাসপাতাল আহতদের কয়েকজনকে অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগকে সিভিল সার্ভিস (সিভিল) হাসপাতাল এবং বীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে সিনামঙ্গলের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের একটি সূত্রের বরাতে বিবিসির নেপাল সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS