আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজও শেয়ারবাজারে শুরুতেই চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। যদিও দিনের শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক সামান্য ৬.৫৬ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে, তবুও বাজারে সামগ্রিক ইতিবাচক পরিবেশ বজায় ছিল।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১,২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা সাড়ে ১২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা বেশি, যা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং বাজারের স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বহন করছে।
দিনের প্রথম ভাগে সূচক এক পর্যায়ে ৫৫ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। পরে বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার কারণে সূচক নেতিবাচক দিকে গেলেও বাজারের ভিত্তি নড়বড়ে হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপোর্ট লেভেল ৫,৪৪০ পয়েন্ট দৃঢ়ভাবে টিকে আছে, যা বাজারের জন্য ইতিবাচক সংকেত।
আজ ডিএসইতে ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৭টির দর বেড়েছে, ২১৫টির দর কমেছে এবং ৪৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫,৪৪৮.৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১,১৯০.২২ পয়েন্টে বেড়েছে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২,১২৩.৭১ পয়েন্টে উঠেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মিশ্র গতি লক্ষ্য করা গেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫,২২৮.৬১ পয়েন্টে উঠে গেছে, তবে লেনদেন কমে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকায় নেমেছে। এখানে ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে, ১০৩টির কমেছে এবং ২৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুনাফা তোলার চাপ কমলে আবারও বাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরে আসবে। সাম্প্রতিক লেনদেনের গতি এবং বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা শেয়ারবাজারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS