ঋণখেলাপিদের নির্বাচন অংশগ্রহণের বিষয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, ঋণখেলাপিরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইপি পেনশন উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা, কিন্তু এটি একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়, কারণ কোর্টের স্টে অর্ডার রয়েছে। আমরা জানি, মহিউদ্দিন খান আলমগীর এই ঋণখেলাপি নিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন।”
ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, এমন মন্তব্যের পাশাপাশি, তিনি কালোটাকা রোধে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবও দেন। ড. আহমেদ বলেন, “কালোটাকার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় রয়েছে—উৎস এবং প্রসেস। উৎসটা আগের চেয়ে এখন অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। আগে এক ব্যক্তির হাতে ব্যাংক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, নিউজ পেপার ও ফ্ল্যাটের মালিকানা ছিল, তবে এখন সেটা আর হচ্ছে না। বর্তমানে কিছুটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। যদি রাজনীতিবিদরা ভোট কেনার জন্য টাকা-পয়সা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান, তাহলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে থেকে কিছুই করতে পারব না।”
অর্থ উপদেষ্টার এই বক্তব্যগুলি আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দেয়, বিশেষ করে ঋণখেলাপি ও কালোটাকা বিষয়ক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS