নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ – দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ‘টাওয়ার টু পাওয়ার’ সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্ছিত জনসাধারণের জীবনমান পরিবর্তন অব্যাহত রেখেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে, প্রতিষ্ঠানটি দিনাজপুরের সেন্ট ফ্রান্সিস হাই স্কুলে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে ২.২ কিলোওয়াট নিরবচ্ছিন্ন সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করেছে, যা তাদের টেলিকম টাওয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগটি দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে, ফলে স্কুলের ২৫০ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মনোরম শিক্ষা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর ড. সাব্বির আহমেদ, অপারেশনস ডিরেক্টর মো. মনোয়ার সিকদার, দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, চার্চের বিশপ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ইডটকো নিজস্ব অবকাঠামো ব্যবহার করে টেকসই জ্বালানি সমাধান প্রদান করছে, যা শুধু ডিজিটাল বিভাজন কমাচ্ছে না, বরং সমাজের সকলের ক্ষমতায়নও করছে। এর মাধ্যমে কোম্পানি টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করছে।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক বলেন, “ইডটকো-তে আমরা আমাদের অবকাঠামোকে বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে নেটওয়ার্ক সংযোগের সুবিধা সবার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। ‘টাওয়ার টু পাওয়ার’ উদ্যোগটি এই লক্ষ্যেরই প্রতিফলন, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে বিদ্যুত সংকট মোকাবিলা করা হচ্ছে। সেন্ট ফ্রান্সিস হাই স্কুল ও হোস্টেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আমরা শুধু শ্রেণিকক্ষ আলোকিত করছি না, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য স্থিতিশীল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশও নিশ্চিত করছি। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা শিক্ষার উন্নতি, টেকসই উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।”
ইডটকো গ্রুপের একটি দীর্ঘমেয়াদী সিএসআর উদ্যোগ ‘টাওয়ার টু পাওয়ার’। ২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই জ্বালানি সরবরাহ করে বাংলাদেশে ৬৫,০০০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে, ইডটকো ডিজিটাল সংযোগের ব্যবধান কমানো, সমাজে সকলের ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি মালয়েশিয়া-ভিত্তিক ইডটকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোম্পানির টেকসই কার্যক্রমের প্রতিফলন দেখা যায় তাদের উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব সমাধানগুলোর মধ্যে, যেমন- ব্যাম্বু টাওয়ার, হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার, স্পান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার এবং স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচার। দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের টেকসই উন্নয়ন যাত্রার অগ্রগতি স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইডটকো গ্রুপ সম্পর্কে:
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত, ইডটকো গ্রুপ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সংযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা, যা টাওয়ার পরিষেবা খাতে এন্ড-টু-এন্ড সমন্বিত সল্যুশন প্রদান করে। এর লক্ষ্য হলো, এশিয়ার দেশগুলোকে তাদের সংযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে এবং যুগান্তকারী সল্যুশনের সাথে সমতাপূর্ণ সংযোগ অর্জনে সহায়তা করা।
নয়টি দেশে ৫৫,০০০ এর বেশি টাওয়ারের পোর্টফোলিও সহ, কোম্পানিটি মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এবং লাওসে উপস্থিত রয়েছে এবং এর গ্রাহক এবং অংশীদারদের টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করার জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে টেকসইভাবে সংযোগের চাহিদা পূরণ করে। ইডটকো অর্গানিক ও নন-অর্গানিক সুযোগগুলোর জন্য সমৃদ্ধ পোর্টফোলিও তৈরির সুযোগ করে দেয়, যা সঠিক স্কেল, অর্থনীতি এবং এর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বিনিময়মূল্য বয়ে নিয়ে আসে।
ইডটকো গ্রুপ ‘ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভান’ দ্বারা টানা ছয় বছর ধরে এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত হয়েছে এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থিত তিনটি ‘আসিয়ান’ ইউনিকর্নের কটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আরো তথ্যের জন্য, পরিদর্শন করুন: www.EDOTCOgroup.com
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply