বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

গাজায় যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানালো জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বুধবার চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার পর আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মধ্যস্থতাকারীদের প্রশংসা করি। মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতায় এই চুক্তির জন্য এবং তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টার জন্য।”

সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতিকে বহাল রাখতে এবং চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করার কথা জানান তিনি। 

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা রয়েছেন।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের বিষয়ে আলোচনাগুলো প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেখানে অবশিষ্ট সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

তৃতীয় ধাপে বাকি মরদেহগুলো ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

গুতেরেস বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত এই সংঘাতের ফলে সৃষ্ট কষ্টগুলো কমানো।” 

তিনি জানান, জাতিসংঘ এই চুক্তির বাস্তবায়নে সমর্থন দিতে প্রস্তুত এবং অগণিত ফিলিস্তিনি যারা দুর্ভোগে রয়েছেন তাদের জন্য টেকসই মানবিক ত্রাণ বিতরণের পরিমাণ বাড়াতে প্রস্তুত। 

বলা হচ্ছে এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন গাজায় ৬০০টি ট্রাক ভর্তি মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিধান রয়েছে। আইন লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিনিদের বেপেরায়া হয়ে ওঠায় যানবহরগুলো প্রায়শই লুট করা হয়। গুতেরেস বলেন এটা জরুরি যে গাজা জুড়ে ত্রাণ বিতরণে ‘উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা’ দূর করতে হবে যাতে ত্রাণ বিতরণ বৃদ্ধি করা যায়।

মহাসচিব বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা তাই-ই করবো যা মানবিক ভাবে সম্ভব এটা জেনেও যে আমরা গুরুতর চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবো। আমরা আশা করি, আমাদের এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি অন্যান্য মানবিক সংগঠন, বেসরকারি ক্ষেত্র ও দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগও এ ধরণের প্রচেষ্টা চালাবে।”

গুতেরেস বলেন, “যে আন্তর্জাতিক সমাজ যেন ভুলে না যায় বৃহত্তর লক্ষ্যের কথা- ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুইটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS