শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন

ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে ম্যাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাসি পার্লামেন্টে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শক্তি পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারকে। আস্থাভোটে সরকার ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। ৫৭৭ জন এমপির মধ্যে ৩৩১ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেঙে পড়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে মিশেল বার্নিয়ারকে।

মিশেল ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁপন্থি রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তা ছিল ম্যাক্রোঁপন্থি সরকার। বুধবারের আস্থাভোটের পর বামপন্থি দলগুলো ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ভোট থেকে পরিষ্কার ম্যাক্রোঁর প্রতিও পার্লামেন্টের সমর্থন নেই।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মিশেলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন ম্যাক্রোঁ। ১৯৫৮ সালে পঞ্চম রিপাবলিক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম এত কম সময় কোনো প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলেন।

ফরাসি পার্লামেন্টে এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো ব্লকের হাতেই সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট শক্তি নেই। যার ফলে পার্লামেন্ট ঝুলে গেছে। এদিকে গ্রীস্মের আগে আবার নির্বাচনও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে যে-ই ক্ষমতায় আসবে তারই অবস্থা মিশেলের মতো হবে। আস্থাভোট হলেই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। অর্থাৎ, সকলকেই সংখ্যালঘু সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে দ্রুত এই সমস্যার মীমাংসা হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আর এই সমস্যার সমাধান না হলে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়া মুশকিল।

ম্যাক্রোঁ অবশ্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম দ্রুত বলতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তার ভাষণ দেওয়ার কথা।

প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফরাসি সময় রাত ৮টায় টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট। বুধবারই তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। তবে ম্যাক্রোঁ পরবর্তী কর্মসূচি কী ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি প্রাসাদ।

বামপন্থিরা ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করলেও অতি দক্ষিণপন্থি নেত্রী লে পেন এখনই ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ দাবি করছেন না। তার বক্তব্য, বুধবারের ভোটকে তারা জয় হিসেবে দেখছেন না। আর কোনো উপায় ছিল না বলেই বুধবার আস্থাভোটের সামনে সরকারকে দাঁড় করাতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

লে পেন বলেন, এই সমস্যা থেকে বার হওয়ার এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে, নতুন করে ভোটের ব্যবস্থা করা। লে পেন মনে করেন, ম্যাক্রোঁও আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS