মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে পণ্য সরবরাহ বন্ধ : চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

হোয়াইট হাউসে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর তার প্রথম দিনের কর্মসূচিতে চীন, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দেশ বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। অবশ্য এই যুদ্ধ প্রকৃতপক্ষে অস্ত্রের যুদ্ধ নয় বলে জানিয়েছে চীন। তারা পরিষ্কার ভাষায় জবাব দিয়েছে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ‘চায়না ডেইলি’ এই খবর জানিয়েছে।

চীন সরকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আকস্মিক ঘোষণাকে বাণিজ্য যুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে। তবে এই বাণিজ্য যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে সত্যিই চড়া মাশুল দিতে হবে।

রাজনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরমাণু শক্তিধর চীনকে কাবু করতে সামরিক ক্ষেত্রের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছে। আর বৃহত্তর এই যুদ্ধের অংশ হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কামান দাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও চীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পকে পরাজিত করে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই নীতি বজায় রেখেছেন। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেই কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত শুরু করে দিয়েছিলেন।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার প্রশাসন সাজানোর পর বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, চীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের আক্রমণাত্মক মানসিকতায় রয়েছেন তিনি। এমনকি আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই চীনের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

এই ব্যাপারে ওয়াশিংটন ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ জুড ব্লাংকেট ‘নিউইয়র্ক টাইমস’কে বলেছেন, প্রথম দফার বাণিজ্য যুদ্ধের সময় বেইজিং মার্কিন শুল্ক আরোপের চাপ মেনে নিয়ে বরং সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে বেইজিং এই চাপ আর মুখ বুজে সহ্য করবেনা, সেই বার্তাই তারা এখন দিতে চায়। মূলত মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের প্রস্তত করেছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যখন তিনি চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে থাকে বেইজিং। মার্কিন কোম্পানিগুলোকে শায়েস্তা করতে চুক্তি পর্যালোচনাসহ প্রয়োজনীয় আইন পাস করে তখন থেকেই কাজ করতে শুরু করে তারা। মার্কিন কোম্পানিগুলো যাতে তাদের শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই ছিল এসব পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS