অক্টোবর মাসের অন্যতম বিশেষত্ব নোবেল পুরস্কার। প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সে হিসেবে সোমবার (৭ অক্টোবর) চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার ও পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার জন্য এ বছর তারা নোবেল পুরস্কার পেলেন।
তবে, নোবেল পুরস্কারের নাম সামনে এলেই হয়তো মনে প্রশ্ন জাগে, নোবেলজয়ীরা ঠিক কত টাকা পুরস্কার পান। যদিও টাকার চেয়ে এই সম্মানটাই অনেক বড়; কিন্তু এখানে টাকার অঙ্কটাও হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।
১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, তা ছিল ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের। এরপর থেকে ১৮ ক্যারেট ‘সবুজ স্বর্ণে’র ধাতবের ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া পদক দেয়া হয় নোবেলজয়ীদের। এছাড়াও দেয়া হয় একটি সনদ ও মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার।
ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে ১৯০১ সালে থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এই পুরস্কারের জন্য নোবেল ফাউন্ডেশনের নামে ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা রেখে গিয়েছিলেন তিনি।
শুরুতে নোবেল বিজয়ীদের প্রায় দেড় লাখ ক্রোনা দেয়া হতো। বাড়তে বাড়তে ১৯৮১ সালে তা ১০ লাখ ক্রোনা হয়। এরপর পুরস্কারের আর্থিক মূল্য দ্রুত বাড়ানো হয়। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো এর পরিমাণ ১ কোটি ক্রোনা হয়। ফাউন্ডেশনের তহবিলে টান পড়ায় ২০১২ সালে পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি ক্রোনা থেকে কমিয়ে ৯০ লাখ করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে আরও ১০ লাখ কমিয়ে করা হয় ৮০ লাখ ক্রোনা। এরপর ২০১৭ সালে তা বাড়িয়ে ৯০ লাখ এবং ২০২০ সালে ফের এক কোটিতে উন্নীত করা হয়।
সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ানো হয় নোবেল পুরস্কারের আর্থিক সম্মানী। এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার) পাবেন, যা আগের চেয়ে ১০ লাখ ক্রোনা বেশি। নোবেল ফাউন্ডেশনের তহবিলের উন্নতি হওয়ায় এ বছর পুরস্কারের আর্থিক সম্মানী বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার মূল্যমান দাঁড়ায় সাড়ে ১২কোটি টাকার বেশি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply