হজ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। ইসলাম ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার এই হজ করা ফরজ।
এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আর মানুষের ওপর কর্তব্য হলো আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা। এটা তার জন্য যে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছোনোর সামর্থ্য রাখে। (সুরা আলে ইমরান-৯৭)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরাহ পূর্ণ করো। (সুরা বাকারাহ-১৯৬)
হজ যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, ঠিক তেমন এর বহু ফজিলতও রয়েছে। যা কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এখানে কয়েকটি ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হলো-
এক হাদিসে এসেছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক উমরা আরেক উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর হজ্বে মাবরুরের (কবুল হজ) প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (বুখারি-১৭৭৩, মুসলিম-১২১)
এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকবে, সে ঐ দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন সে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয়েছিল। (বুখারি-১৫২১, মুসলিম-১৩৫০)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, ইসলামধর্ম গ্রহণ পূর্বেকার যাবতীয় পাপকে মুছে ফেলে। হিজরত পূর্ববর্তী গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয় এবং হজ অতীতের পাপসমূহ মুছে দেয়। (মুসলিম-১২১)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, হজে মাবরুর তথা কবুল হজ। (বুখারি-২৬, মুসলিম-৮৩)
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজ ও উমরাকারীগণ আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা দুআ করলে তাদের দুআ কবুল করা হয় এবং তারা কিছু চাইলে তাদেরকে তা দেওয়া হয়। (মুসনদে বাযযার–১১৫৩)
এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হাজীদের গুনাহ ক্ষমা করেন এবং হাজি যাদের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করেন, তাদেরকেও ক্ষমা করেন। (তাবরানি-১০৮৯)
এছাড়াও হজের আরো বহু ফজিলত কোরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হজ করার তাওফিক দান করুন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply