হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ উপজেলার ভুট্টা চাষীরা বিপাকে পড়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধান কটার পর ঐজমিতে চাষীরা গম, আলু, সরিষা, ভুট্টা আবাদ করেছে। সবচাইতে বিপাকে পড়েছে ভুট্টা চাষীরা। অজানা পোকার আক্রমনে চাষীরা দিশেহারা, কোনভাবেই ভূট্টার গাছ পোকা দ্বারা কাটা বন্দ করা যাচ্ছে না।
প্রতিদিন সকাল বেলা আবার কেউ বিকাল বেলা কেউ নিজে আবার কেউ শ্রমিক দিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে দুই-তিন প্রকারের কীটনাশক একত্রে মিশিয়ে একদিন পর একদিন, আবার কেউ দুই-তিনদিন পর পর বিষ প্রয়োগ করেও ভুট্টা ক্ষেতের গাছ কাটা পোকা দমন করতে পারছেনা। দামোল গ্রামের মোঃ খসবুর ও জহরুল ১ বিঘা, রণহাট্টা গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম, পিতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ (খোকা) দুই বিঘা ভুট্টা ক্ষেত ভেংগে পুনরায় গম বপন করেছে।
ঐ এলাকার ভুট্টা চাষী মোঃ সবুজ পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান প্রতিবেদককে জানালেন যে, ভুট্টা ক্ষেত ভেংগেদিয়ে পুনরাই ভুট্টা বপন করলাম। একাধিক বার বিষ স্প্রে করেও ভুট্টার গাছ কাটা রক্ষা করতে পারিনি। এত গুলো বিষ স্প্রে করলাম টাকা খরচ করে কোন উপকার পেলাম না। লোকসান ও ঋনের খাতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
দামোল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানালেন যে, সাবেক আনিসুর মেম্বারের ভুট্টা ক্ষেতে পাঁচ সাতবার এস্প্রে করেও পোকা দমন করতে পারেনি।
ভুট্টা চাষি রেজাউল করিম জানালেন যে, ভুট্টা বোপনের আগে ডারসবান, ভুট্টা গাছ বের হওয়ার পর ভির্তাকু, ওয়ানস্টপ, শিকল, নাইট্র, রিলোড, নামক কীটনাষক দিয়েও কোন কাজ হয়নি। ২/৪ জন কীটনাশক বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, ভূট্টার জন্য মূলত কোন বিষ নেই। ধান চাষের বিষই ভূট্টা ক্ষেতে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এলাকার চাষীদের দাবি ভূট্টার উপর গবেষনা করে বিষ উৎপাদন করা হলে আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসারের সহিত যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, পোকার নমুনা সংগ্রহ করে উর্ধতন কতৃপক্ষ বরাবরে পাঠিয়েছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply