শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
দ্যা নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশকের উপর হামলার প্রতিবাদ ও মানববন্ধন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৯তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত জাতির সাথে নির্লজ্জ প্রতারনা ঐকমত্যের নামে ছল চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে জুলাই সনদ প্রণয়ন ঐকমত্য কমিশন: সিপিবি(এম) গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নতুন সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান চলতি বছরের অক্টোবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি কমিউনিটি ব্যাংক ও উইগ্রো টেকনোলজিসের মধ্যে কৃষি সেবায় ব্যবসায়িক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে সারাদেশে আটক ১৪৯ জন

হাতীবান্ধায় গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর চাল আত্মসাৎ’র অভিযোগ

মো:রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩

হাতীবান্ধা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাক প্রতিবন্ধী পরিবারের ভিজিডি কার্ডের চাউল তুলে আত্মসাৎ’র  করার অভিযোগ উঠেছে আসাদুল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশ বিরুদ্ধে। জানা গেছে ২১/২২ অর্থ বছরে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ফরহাদুল ইসলামের পরিবারের নামে দুই বছর মেয়াদী ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ হয়। কিন্তু সানিয়াজান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম কৌশলে ফরহাদুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমার নামে ভিজিডি কার্ডটি গোপন করে নিজে আত্মসাৎ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২ বছরে ১৮ মণ ‘র উপরে চাউল উত্তোলন করেন ওই গ্রাম পুলিশ। সেই কার্ডের মেয়াদ শেষ হলে আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ওই সব উপকার ভুগীদের এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এনজিও কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত ব্যাক্তি ছাড়া ওই টাকা প্রদান করা হবেনা। এমতাবস্থায় ওই গ্রাম পুলিশ বাধ্য হয়ে ফাহিমা বেগমকে বিষয়টি জানান এবং টাকা উত্তোলন করে অর্ধেক টাকা ভাগ দিতে বলেন।  ফাহিমা বেগম রাজি না হলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। 

পরে ফাহিমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকীদিয়ে মিমাংসা পত্রে স্বাক্ষর নেন ওই গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম।

ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান,  গ্রাম পুলিশ আসাদুল গরীব মানুষের হক মেরে খেয়েছে। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে ফাহিমা বেগম জানান গর্ভবতী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয় ওই গ্রাম পুলিশ। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমার কার্ড হয়নি। এখন আমি জানতে পারলাম আমার কার্ড হয়েছে এবং সেই কার্ড দিয়ে ২ বছর ধরে সে নিজে চাউল উত্তোলণ করে।

প্রতারণার বিষয়ে গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চাউল আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার নামে ভিজিডি কার্ড না হওয়ায় আমি ফাহিমার আইডি কার্ড অনলাইন হতে ডাউনলোড দিয়ে ভিজিডি কার্ড এর ব্যাবস্থা করি, ও সেই চাউল আমার বাবা খেয়েছে। এটা আমার অপরাধ হয়েছে।

এ বিষয়ে সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাশেম তালুকদার বলেন, ফাহিমা বেগম আমাকে অভিযোগ করলে আমি গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, এটি অন্যায় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS