শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত মনোনয়নে ধানের শীষের প্রাথী করার দাবিতে গণমিছিল ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ বন্দর চুক্তিই একটা বড় দুর্নীতি : মোমিন মেহেদী অবিলম্বে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ভোলা বরিশাল সেতুর দাবিতে ছাত্র জনতার পথযাত্রা সংক্ষিপ্ত অবস্থানে দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের সংহতি প্রকাশ সনাতন ধর্ম নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য হারুনর রশীদ- কর্তৃক কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ভূমিকম্পে দেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্পের বড় ঝাঁকুনি তুরাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, রাইফেল, পিস্তল এবং শর্টগান উদ্ধার জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে ঢাকায় ধর্মঘট: তরুণ ও শ্রমিকদের জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান ও কপ৩০ সম্মেলনে ন্যায্য রূপান্তরের নিশ্চিতের দাবি

টাকা জমা রেখে সরকারি কর্মচারীরাই সর্বোচ্চ সুদ পান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৫৫ Time View

সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে সুদের হার আবার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে ৩ আগস্ট রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিপিএফ মুনাফার হার ছক আকারে স্লাব অনুযায়ী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোট তিনটি স্লাব রাখা হয়েছে।

এই স্লাব অনুযায়ী, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা মিলবে। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ জমা রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ ১ টাকা বা তার বেশি জমা রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১১ শতাংশ হারে।

এতে সিপিএফ এর বিষয়ে বলা হয়েছে, সব সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি) আর্থিক সংগতি একরকম না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান/সংস্থা তাদের নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধান ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী, ছকে উল্লেখিত স্লাবভিত্তিক হারকে সর্বোচ্চ হার বিবেচনায় নিয়ে সিপিএফ -এ জমা করা আমানতের উপর হ্রাসকৃত হারে মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে।

এদিকে, বর্তমানে দেশে চার প্রকারের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র।

১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোনো বাংলাদেশি মহিলা, শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা এবং ৬৫ বছর ও তার বেশি যে কোনো বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলা পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

সকল শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এছাড়া আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২) এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি (২) এ সংজ্ঞায়িত স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল এবং ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ এর ১৯ নং) অনুযায়ী পরিচালিত ভবিষ্য তহবিলও বিনিয়োগ করতে পারবে।

পাশাপাশি আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিল এর পার্ট এ এর অনুচ্ছেদ ৩৪ অনুযায়ী, মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পেলিটেড পোল্ট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ হতে অর্জিত আয়-যা সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়ন করে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

সকল শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এবং অটিস্টিকদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য যে কোনো অটিস্টিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান (যাদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অটিস্টিকদের সহায়তায় অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে) এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

এই সঞ্চয়পত্র অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপত, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী, সন্তানরা কিনতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS