‘হারিকেন হিলারি’ নামে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) এটি আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূল থেকে ৬৪৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৩৩ কিলোমিটার এবং এই গতিবেগ ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে এর প্রভাবে এরই মধ্যে মেক্সিকোয় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে ‘হারিকেন’ বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হারিকেন আঘাত করে।
প্রতিবেদন মতে, হারিকেন হিলারিকে ক্যাটাগরি ৪ তথা ৪ মাত্রার হারিকেন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মেক্সিকো উপকূল থেকে ৬৪৩ কিলোমিটার দূরে ছিল। শনিবার সকাল নাগাদ এটি মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে ল্যান্ডফল করতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ল্যান্ডফল করার পর এটার গতিবেগ কমে যাবে। এটি তখন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও উটাহ’র দিকে এগিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে গত ৮০ বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানা প্রথম কোনো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হবে এটি।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ দ্য ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) তার পূর্বাভাসে বলেছে, হারিকেন হিলারির প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ৭ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও দক্ষিণ নেভাদা অঞ্চলের কিছু অংশে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ উপকূলীয় শহর সান দিয়াগোয় হড়কা বান তথা আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ এনডব্লিউএস। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বন্যা সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
এনডব্লিউএস আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি মুহূর্তে শক্তি ও গতি বৃদ্ধি করছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রতি ঘণ্টায় ৭৪ মিটার গতি বাড়িয়েছে এটি। আগামী রোববার ও সোমবার (২০ ও ২১ আগস্ট) নাগাদ এর গতিবেগ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply