বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন

প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ; ৫লক্ষ টাকায় আপোস মিমাংসা

মোঃ রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে শফিকুল ইসলাম নামে প্রভাবশালী এক বাস কাউন্টার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আপোষ মিমাংসা করলেও ভুক্তভোগী পরিবার পেয়েছে ৪ লক্ষ টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভিআইপি পাড়া এলাকায় অভিযুক্ত সফিকুলের বাড়িতে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষকে ডেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দেন টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন। 

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া সে হাতীবান্ধা বাস স্টান্ডের কাউন্টার ম্যানেজার।

জানাগেছে, শফিকুল ইসলাম ও শিশুর বাড়ি পাশাপাশি। তারা একে অপরের প্রতিবেশী। শিশুটি শফিকুলকে বড় আব্বু বড় আব্বু বলে ডাকতো। শফিকুলের স্ত্রী বাড়ির বাহিরে গেলে সে প্রায় দিনে এটা ওটা দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে সে।

শফিকুলের মেয়ের সিজার করার সুবাদে তার স্ত্রী রংপুরে থাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবারো সফিকুল ইসলাম ওই শিশুকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এমন সময় বিষয়টি টের পেয়ে শফিকুলকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনকে জানালে তিনি উভয় পক্ষকে তার ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দেন। তবে সেখান থেকে ভুক্তভোগী পরিবার ৪ লক্ষ টাকা পেলেও এক লক্ষ টাকার কোন হোদিস নেই। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে আইনের আওতায় না দিয়ে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার বিষয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সফিকুলকে ধর্ষণ করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।

শিশুটির নিকটতম এক আত্বীয় বলেন, সফিকুলকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের কাছে ঘটনা বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রথমে নিরব থাকলেও পরে বলেন, মেম্বার চেয়ারম্যান বসে বিষয়টি ফয়সালা করে দিয়েছে।

টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে সাক্ষাতে বিস্তারিত বলতে চেয়েছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS