শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নভেম্বরের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই–অক্টোবর) রাজস্ব ঘটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ দর দরপতনের শীর্ষে রহিমা ফুড দর বৃদ্ধির শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লেনদেনের শীর্ষে নবাগত ডিসি কামাল হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা; ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমন্ত্রণ আইএফআইসি ব্যাংকের ল’ এবং আইটি বিভাগে নিয়াগপ্রাপ্ত নতুন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসারদের সনদপত্র প্রদান স্বাবলম্বী ঢাকা-১৭ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর : ডা. খালিদুজ্জামান ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে বাংলালিংক ও এস.এ. গ্রুপের অংশীদারিত্ব

নেপালের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ চুক্তি বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
  • ১৬৪ Time View

হিমালয়ের দেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। এ চুক্তির মেয়াদ হবে ২৫ বছর।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট রোববার (৯ জুলাই) এ খবর দিয়েছে। 

বিদ্যুতের দাম নিয়ে দুইপক্ষ এখনো কোনো আলোচনা না করলেও, চুক্তির মেয়াদ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুল মান ঘিসিং কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ চুক্তিতে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশের কাছে আমাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির শক্তি বাণিজ্য পরিচালক প্রবাল অধিকারী জানিয়েছেন, নেপালের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রথমে পাঁচ বছর মেয়াদি নবায়নযোগ্য চুক্তি করতে চেয়েছিল। বিদ্যুৎ খাতের অনিশ্চয়তার কারণে দীর্ঘ মেয়াদির বদলে স্বল্প মেয়াদি চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ঢাকা।

তবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করতে সম্মত হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুল মান ঘিসিং। তিনি বলেছেন, ‘দাম ব্যতিত অন্য সবকিছু নিয়ে আমরা সম্মত হয়েছি।’

bangladesh_nepal_flags_0

বাংলাদেশ থেকে নেপালের বিদ্যুৎ আসবে ভারত হয়ে। যখন ভারত-বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে এ নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হবে; তখনই বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে।

অথরিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রথমে বিদ্যুতের দাম বাদে কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে সমাধানের আগ্রহ দেখায়। পরবর্তীতে দুই দেশ সেসব বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে নেপাল আলোচনার পথ খোলা রেখেছে বলে জানিয়েছেন কুল মান ঘিসিং। তিনি বলেছেন, বন্ধুত্বের অংশ হিসেবে আমরা ভালো একটি দাম প্রস্তাবের পরিকল্পনা করছি। কারণ এটি সরকার থেকে সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের যে দাম রয়েছে সেটি একটি উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। তবে দাম এখনো নির্ধারিত হয়নি।

অপরদিকে ট্রান্সমিশন এবং সার্ভিস ফি বাংলাদেশ সরাসরি ভারতের বিদ্যুৎ ভায়াপার নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) কাছে প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন প্রবাল অধিকারী।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা এ সংস্থাটিকে যে পরিমাণ ফি দিয়ে থাকে বাংলাদেশকেও ওই একই অর্থ দিতে হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ ফি নির্ধারিত আছে সেটি অনুযায়ী ট্রান্সমিশনের জন্য বাংলাদেশকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৪০ থেকে ৫০ পয়সা (ভারতীয় রুপি) দিতে হতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মধ্যকার এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে এনভিভিএনকেও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS