বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন

জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে গুগল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

জিমেইল সেবা বন্ধ করে দেওয়ার নীতিগত ঘোষণা করল গুগল। তবে বিপদে পড়বে না চলমান অ্যাকাউন্ট, বরং যেসব অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ধরে অচল পড়ে আছে বা ব্যবহারকারী জিমেইলটি ব্যবহার করছেন না, সেসব চিহ্নিত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে গুগল কর্তৃপক্ষ।

বিনামূলো ন্যূনতম ১৫ জিবি ডেটা স্টোর বরাদ্দ থাকে প্রতিটি জিমেইল অ্যাকাউন্টের জন্য। তাই ২ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কোনো অ্যাকাউন্ট পরিত্যক্ত থাকলে তা গুগল নজরে আনবে। নির্দিষ্ট অ্যাকউন্টকে দফায় দফায় সতর্ক করবে কর্তৃপক্ষ। তাতেও যদি সাড়া না মেলে তখনই কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধের চূড়ান্ত বার্তা জানাবে জিমেইল।

জিমেইল (অব্যবহৃত) অ্যাকাউন্টের জন্য গুগল এমন নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শুধু জিমেইল নয়, বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টে ডকস, ড্রাইভ, মিট, ক্যালেন্ডার, ইউটিউব বা গুগল ফটোস— এমন কোনো ধরনের সুরক্ষিত তথ্যই আর ফেরত পাবেন না ভোক্তারা।

খবরে প্রকাশ, গুগল তার অভ্যন্তরীণ গবেষণা ও বিশ্লেষণে দেখেছে, পরিত্যক্ত চিহ্নিত অ্যাকাউন্টগুলো দুই স্তরের যাচাইকরণ সেটআপ পদ্ধতি চালু পরেও সক্রিয় হয়নি। ফলে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্যচুরির সম্ভাবনা থেকে যায়। আগের তুলনায় এখন একাধিক ডিভাইসে জিমেইল ব্যবহার করার প্রবণতা বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাই নিরাপত্তায় সঠিক ব্যক্তি যাচাইকরণ প্রক্রিয়া আরও সুরক্ষিত করেছে জিমেইল ডেভেলপার গ্রুপ।

দুশ্চিন্তার কিছু নেই। হুট করেই কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবে না গুগল। কয়েক দফা নোটিফিকেশনের ধাপ পেরিয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে সদুত্তর না দেওয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব জিমেইল ভোক্তা অন্তুত একবারের জন্য নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ না করবে তাদের চূড়ান্ত বিদায় জানাবে জিমেইল।

সুদীর্ঘ গবেষণায় গুগল তার ভোক্তাদের জন্য বহুমুখী সেবার পসরা সাজিয়েছে। সুতরাং সব জিমেইল ব্যবহারকারীকে তাদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে ও তাদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গুগল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS