বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
‘এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের ৪৮ ঘন্টাব্যাপী লং মার্চ এর ডাক পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেসহ রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন কমিউনিটি ব্যাংক ও হলিডে ইন ঢাকার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর হবিগঞ্জে ঘুমন্ত শিশুদের তুলে নিয়ে ভয়ংকর ভাবে জোর করে বলাৎকার শিক্ষক গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালানের আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধ–অপহরণের ২৪ দিন পর, যশোর থেকে ৫ জন উদ্ধার প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন করল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’ ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ নকল সিগারেট জব্দ Price Sensitive Information of Salvo Chemical Industry Ltd. Price Sensitive Information of Fu-Wang Ceramic Industry Limited

ইচপ্রিয়া – লেখক মামুন মোল্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

মোঃ মামুন মোল্যা

ইচপ্রিয়া কমলাপুর রেল স্টেশনের মেয়ে,তা বললে ভুল হবেনা। কারণ সে যখন বুঝতে শিখেছে,তখন থেকেই সে নিজেকে দেখে রেল স্টেশনের ছায়া তলে তার বসবাস। মা বাবা কে? সে কখনো দেখছে বলে কিছু বলতে পারেনা। কে তার মা ? কে তার বাবা? সেই প্রশ্ন তাকে খুঁড়ে খুঁড়ে খায়? ছয় বছরের ছোট মেয়ে। অনেকের কাছে এই প্রশ্ন করেছে। কে তার মা? কে তার বাবা? কেউ তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। সেই প্রশ্ন নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখে পথ চলছে। একা একা পথ চলা সত্যি ভীষণ কষ্টের। ছোট্ট মেয়ে, সে কোনো কাজ করতে পারে না। পথচারীর কাছে হাত পেতে যা পায় তাই দিয়ে তার দিন চলে যায়। কিন্তু রাত সহজে যায় না। কারণ তার আপন বলতে পাশে কেহ নেই।তাও আবার মেয়ে মানুষ। পথের পাশে ঘুম পড়া যে কত ঝুঁকি সেটা বলে বা লেখে বোঝানো সম্ভব না। এই ভাবে তার দীর্ঘদিন চলতে থাকে। যখন তার বয়স বারো বছর।তখন মানুষের কাছে হাত পাতলে কিছু কিছু ভদ্রলোক বলে,চেহারা তো মন্দ নয়, তবে এই কাজ করো কেন? ইচপ্রিয়া বলতে চাই, এই কাজ করি কেন? কিন্তু তারা প্রশ্ন ছুড়ে চলে যায় কিন্তু প্রশ্নের উত্তর নিবার মত তাদের সময় হাতে নেই। একদিন মনে মনে ভাবে এত কথার ভার বহন করা আমার পক্ষে খুবই কষ্টের।সিদ্ধান্ত নিল আর এই পথে থাকবে না। পথ শিশুদের সাথে নতুন করে জীবন গড়বে। সেখানে গিয়ে দেখে ভিন্ন এক জগত। দিনের বেলা ছেলেরা বোতল কুঁড়িয়ে ঠেলা গাড়ি চালিয়ে যা পায় কোন দিন পেট চলে কোন দিন চলে না। কিছু কিছু দিন কাজ করে কিন্তু সেই অর্থে পেট চলে না। কি করবে ? কোনো মালিক পথ শিশুদের কাজ দেয় না।পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে রাতে ছিন্তায় অথবা খুনের মত জঘন্য কাজ করে। মেয়েরা আর কি করবে ? ওদের বোতল কুঁড়ানো ছাড়া আর কি বা করার আছে? তাতে কি আর পেট চলে। রাতে বাসের হেল পার অথবা ড্রাইভার দের সাথে রাত কাটালে বেশ কিছু টাকা আসে। সেই টাকা দিয়ে পেট চালায়। আবার দলের ছেলেদেরও সাথে রাত কাটাতে হয়। তা না হলে আবার দল থেকে বাহির করে দেয়। এই সব দেখে ইচপ্রিয়া মনে মনে ভাবে ভিক্ষা করা এর থেকেও শত গুন ভালো। ইচপ্রিয়া এই ভেবে সেখানে এক মুহূর্তেও রইল না। ইচপ্রিয়া আবার এসে সেই পথে দাড়িয়ে ভিক্ষা করতে লাগলো। ইচপ্রিয়া এক ভদ্র লোকের নজরে পড়ে। তিনি বলল এই মেয়ে তোমার নাম কি ? জি স্যার ইচপ্রিয়া। ইচপ্রিয়া তোমাকে আমার বাড়ি চাকরি দিলে করবে? জি স্যার কি চাকরি? আমার মা কে দেখা শোনা আর রান্নাবান্না করা। বেতন দিবো থাকা খাওয়া বাদে ছয় হাজার টাকা। জি স্যার করবো। ইচপ্রিয়া ভদ্র লোকের বাড়ি গিয়ে বেশ কিছুদিন ভালো ভাবে কাজ করছে। প্রথম মাস শেষ হতেই ইচপ্রিয়া বেতন চাই। ভদ্রলোক বলে দিবো,টাকা নিয়ে চিন্তা করনা। এই ভাবে ছয় মাস চলে যায়। একদিন ভদ্র লোকের মা ডাক্তারের কাছে যায়। সেই সুজকে ভদ্রলোকদ্বয় ইচপ্রিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ইচপিয়া খুব চিন্তায় পড়ে যায়। এমন সুজক কি জীবনে বার বার আসে?। কি করবে? এক পর্যায়ে রাজি হয়। ভদ্র লোকটি ভালোবাসা কে ঢাল বানিয়ে বিবাহর কথা বলে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত থাকে। যখন তার গর্ভে সন্তান আসে। তখন ছেলেটার মাকে সব খুলে বলে।মা তার ছেলেকে সব খুলে বলতে রেগে আগুন। ছেলেটি ইচপ্রিয়াকে মিথ্যাবাদী বেশ্যা বলে গালাগালি করে ক্ষান্ত হয়নি।রুম থেকে চড়াতে চড়াতে গেট পর্যন্ত এনে খালি হাতে তাড়িয়ে দেয়। ইচপ্রিয়া সেই দিন বুঝতে পারে,কে তার মা ? কে তার বাবা?

লেখা: ২৮-৫-২২

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS