সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

হাতীবান্ধায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

রেজাউল ইসলাম
  • আপডেট : সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্র সুমন ওরফে সাদিতসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও পর্যন্ত ছাত্রীকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ছাত্রীর পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার সফিকুল আলম খন্দকার (রতন) এর মেয়ে পারুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববতী এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে কলেজ ছাত্র সুমন (১৯) ওরফে সাদিত এর কুনজর পড়ে ওই ছাত্রীটির প্রতি। ছাত্রীটি স্কুলে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে লম্পট সুমন তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের কথা বলে উত্যাক্ত করে। বিষয়টি স্কুল ছাত্রীর বাবা জানার পর তিনি সুমনসহ তার পরিবারকে সতর্ক করেন। এরপরও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমতাবস্থায় গত ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ছাত্রীটি প্রাইভেট পড়ার জন্য শহিদুল মাষ্টারের বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে দক্ষিণ পারুলীয়া শিমুলতলা নামক স্থান থেকে সুমনসহ ৫-৬ জন মিলে ছাত্রীটিকে জোর পূর্বক সাইদুল ইসলাম (বল্টু) এর সিএনজি গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে অপহরণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ছাত্রীর পিতা শফিকুল আলম খন্দকার রতন কলেজ ছাত্র সুমনসহ তার পরিবারের ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে মেয়েটিকে নিয়ে খুবই দুঃচিন্তায় আছে তার পরিবার।

এবিষয়ে জানার জন্য কলেজ অভিযুক্ত সুমনের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে না প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন এটি প্রেম ঘটিত ব্যাপার।

এ বিষয়ে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর চাচা শরিফুল আলম খন্দকার মনি বলেন, আমার নাবালিকা ভাতিজিকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায় আসামিরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ভাতিজিকে উদ্ধার করাসহ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাসহ ভাতিজীকে উদ্ধার করে ফিরে দেয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানান। 

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS