পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক দর পতনে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। গত সপ্তাহে সিমেন্ট খাতের ২ কোম্পানির শেয়ারের দাম এই অবস্থানে নেমে আসে। চলতি সপ্তাহে এই তালিকায় যোগ হয়েছে প্রকৌশল খাতের ২ কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড লিমিটেড ও ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আলোচিত ২টি কোম্পানি-ই ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল তথা বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন করে থাকে। এর মধ্যে ইস্টার্ন ক্যাবল হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি। আর বিবিএস ক্যাবল হচ্ছে বেসরকারি খাতের কোম্পানি।
আজ (১৭ মে) ডিএসইতে বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার সর্বোচ্চ ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা, সর্বনিম্ন ৫১ টাকা ৭০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়। শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল ৫২ টাকা ১০ পয়সা।
আজকের ক্লোজিং মূল্য গত দুই বছরের মধ্যে বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য। ২০২০ সালের ৩১ মে ডিএসইতে শেয়ারটির দাম ছিল ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা। দীর্ঘদিন শৈয়ারটির কেনাবেচা হয় তখনকার ফ্লোর প্রাইসে। গত বছরের ১২ জুলাই শেয়ারটির দাম বাড়তে থাকে। এটি গত বছরের ৬ অক্টোবর ৮২ টাকা ২০ পয়সায় উঠে। এর পর থেকে দাম কমতে থাকে শেয়ারের। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়ে ৫২ টাকা ১০ পয়সা।
বিবিএস গ্রুপের এই কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে আসে। এর পরিশোধিত মূলধন ২১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ২০ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার। এই শেয়ারের ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ টাকা ৮৪ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। এই ইপিএসকে বার্ষিকীকরণ (Annualized) করলে দাঁড়ায় ৪ টাকা ২১ পয়সা। তবে বছর শেষে প্রকৃত ইপিএস এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।
এদিকে আজ ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ১২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১২৮ টাকার মধ্যে। শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা। গত বছরের ৩১ মে শেয়ারটির দাম ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। পরবর্তীতে দাম বেড়ে গত বছরের ২৪ আগস্ট ১৮১ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে। সেখান থেকে কমতে কমতে আজ ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থার অধীন এই কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে আসে। এর পরিশোধিত মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৬৪ লাখ। এই শেয়ারের ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে। সরকারের কাছে আছে ৫১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় লোকসান ছিল ৪ টাকা ৬৮ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। এটিকে বার্ষিকীকরণ (Annualized) করলে দাঁড়ায় লোকসান দাঁড়ায় ২ টাকা ৮৪ পয়সা। তবে বছর শেষে প্রকৃত ইপিএস বা লোকসান এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply