বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জারি করা ‘মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫’ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও আসিফ হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ রুলের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার এস এম ইকবাল হোসেন ও অন্যান্যরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (নং-১৮৫৩৯/২০২৫) দায়ের করেছিলেন। পিটিশনের শুনানি আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।
শুনানির পর আদালত রিটের প্রেক্ষিতে মার্জিন নীতিমালার ওপর এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। রুলের আদেশ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়, বিএসইসি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এই রুলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে সময় পাবে এবং নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি হবে।মার্জিন নীতিমালা ২০২৫-এ যা বলা হয়েছে-
(১) মার্জিন অর্থায়নকারী স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড (main board)-এ তালিকাভুক্ত ‘A’ এবং ‘B’ ক্যাটাগরির শেয়ারসমূহ ব্যতিত অন্য কোনো সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ‘B’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কোম্পানি বার্ষিক ন্যূনতম ৫% লভ্যাংশ বিতরণ না করিলে ‘B’ ক্যাটাগরির কোনো শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।
আরও শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নকৃত ‘A’ এবং ‘B’ ক্যাটাগরির কোনো শেয়ার পরবর্তীতে ‘Z’ ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হইলে, বা ‘B’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কোম্পানি বার্ষিক ন্যূনতম ৫% লভ্যাংশ প্রদান না করিলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬০ (ষাট) ট্রেডিং দিবসের মধ্যে উক্ত শেয়ারসমূহ আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উহা সমন্বয় করিবে।
২) উপবিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, স্টক এক্সচেঞ্জ এর SME, ATB বা OTC প্ল্যাটফর্ম বা বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(৩) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার কারণে বিদ্যমান মার্জিন হিসাবে রক্ষিত কোনো সিকিউরিটি মার্জিন অর্থায়ন অযোগ্য (non-marginable) সিকিউরিটিতে রূপান্তরিত হইলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে, উক্ত সিকিউরিটি আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উক্ত হিসাব সমন্বয় করিবে;ব্যাখ্যা। এই উপবিধিতে “বিদ্যমান মার্জিন হিসাব” বলিতে এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার পূর্বের কোনো মার্জিন হিসাবকে বুঝাইবে।
১১ নং ধারায় মার্জিন অর্থায়নে বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে- কোনো ‘মার্জিন অর্থায়নকারী’ নিম্নোক্ত বিধি-নিষেধ বা শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে পরিপালন না করিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না, যথা:
(১) কোনো গ্রাহকের হিসাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসের অব্যবহিত পূর্বের ০১ (এক) বছর গড়ে, ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার বিনিয়োগ না থাকিলে, উক্ত হিসাবে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নের পর কোনো মার্জিন হিসাবে (margin account) মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটি ব্যতিত অন্য কোনো সিকিউরিটি সংরক্ষণ করা যাইবে না;(২) উপবিধি (১) পরিপালন সাপেক্ষে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসে উক্ত হিসাব বা পোর্টফোলিওতে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা বা সমমূল্যের মার্জিন সংরক্ষিত না থাকিলে, কোনো ভাবেই, উক্ত হিসাবে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, বিদ্যমান গ্রাহকের মার্জিন হিসাবে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার কম পোর্টফোলিও মূল্য বা বিনিয়োগ থাকিলে, এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার ১ (এক) বছরের মধ্যে উক্ত মার্জিন হিসাবের পোর্টফোলিও ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকায় উন্নীত করিতে হইবে, নতুবা মার্জিন অর্থায়নকারী উল্লিখিত গ্রাহকের মার্জিন হিসাব সমন্বয় করত: উহা বন্ধ করিবে;
(৩) মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটির উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital) ন্যূনতম ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকা না হইলে উহাতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কারণে মার্জিন অর্থায়নকৃত কোনো সিকিউরিটি’র উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital) পরবর্তীতে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার নিচে নামিয়া গেলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬০ (ষাট) ট্রেডিং দিবসের মধ্যে, উক্ত সিকিউরিটি আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উহা সমন্বয় করিবে:আরও শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটির উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital), স্টক এক্সচেঞ্জ, উহার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করিবে;
(৪) মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটির পূর্ববর্তী মূল্য-আয় [trailing P/E (price earning ratio)] অনুপাত ৩০ (ত্রিশ) এর অধিক হইলে উহাতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিবেচ্য সিকিউরিটির মূল্য-আয় (P/E) অনুপাত ৩০ (ত্রিশ) বা খাতভিত্তিক মধ্যম মূল্য-আয় (sectoral median P/E)- অনুপাত এর দ্বিগুণ (double), যাহা কম হয়, তাহার ভিত্তিতে মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটি নির্বাচন করিতে হইবে;
(৫) মার্জিন অর্থায়নের জন্য পূর্ববর্তী মূল্য-আয় অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পন্থা অবলম্বন করিতে হইবে:পূর্ববর্তী মূল্য-আয় অনুপাত (trailing P/E ratio) সিকিউরিটির সর্বশেষ ট্রেডিং দিবসের সমাপনী মূল্য (closing price) ভাগ (1) সর্বশেষ ধারাবাহিক ০৪ (চার) প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় [EPS (Earning Per Share)] এর যোগফল:তবে শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটি নির্ধারণের সুবিধার্থে স্টক এক্সচেঞ্জ, মূল্য-আয় অনুপাত (P/E Ratio) উহার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটির মূল্য-আয় অনুপাত (P/E Ratio) বা খাতভিত্তিক মূল্য-আয় (sectoral P/E) অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে শেয়ার প্রতি ঋণাত্মক আয়কে (negative EPS) কোনো ভাবেই বিবেচনা করা যাইবে না;
(৬) কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে (auditors’ report) সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ব্যবসার অস্তিত্বের হুমকি (going concern threat) বা এইরূপ ঝুঁকি উল্লেখপূর্বক বিরূপ মন্তব্য (qualified opinion) প্রদত্ত হইলে, উক্ত সিকিউরিটি বা ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে (auditors’ report) উক্তরূপ ঝুঁকির উল্লেখ থাকিলে, স্টক এক্সচেঞ্জ, উহা নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে;
(৭) কোনো সিকিউরিটি ইস্যুয়ার কোম্পানির ব্যবসায় কার্যক্রম (operation) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকিলে, উক্ত সিকিউরিটি বা ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কোম্পানির ব্যবসায় কার্যক্রম (operation) বন্ধ সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকিলে, স্টক এক্সচেঞ্জ, উহা নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে;
(৮) কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক উহার তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিকে ‘N’, ‘Z’, ও ‘G’, ক্যাটাগরিভুক্ত করা হইলে উহাদিগতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(৯) কোনো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় বা অ-তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(১০) মার্জিন অর্থায়নকারী বা উহার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত তালিকাভুক্ত বা অ-তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, গ্রাহকের নিজস্ব তহবিল বা জমাকৃত অর্থে উক্ত সিকিউরিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বাধা-নিষেধ প্রযোজ্য হইবে না;
(১১) কোনো পাবলিক অফার বা রাইট ইস্যুতে অংশ গ্রহণের নিমিত্ত কোনো মার্জিন হিসাবধারীর অনুকূলে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(১২) কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোনো পরিচালককে, কোনো অবস্থাতেই, স্বীয় কোম্পানির কোনো শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না; এবং
(১৩) কোনো অবস্থাতেই গ্রাহকের লককৃত (locked-in) বা বন্ধকীকৃত (liened) বা আবদ্ধকৃত (blocked) বা কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক কর্তৃক ধারণকৃত (directors’ shares) কোনো শেয়ার বা সিকিউরিটিকে মার্জিন হিসেবে জমা রাখিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।
মার্জিন নীতিমালা ২০২৫–এ যা বলা হয়েছে–
(১) মার্জিন অর্থায়নকারী স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড (main board)-এ তালিকাভুক্ত ‘A’ এবং ‘B’ ক্যাটাগরির শেয়ারসমূহ ব্যতিত অন্য কোনো সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ‘B’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কোম্পানি বার্ষিক ন্যূনতম ৫% লভ্যাংশ বিতরণ না করিলে ‘B’ ক্যাটাগরির কোনো শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।
আরও শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নকৃত ‘A’ এবং ‘B’ ক্যাটাগরির কোনো শেয়ার পরবর্তীতে ‘Z’ ক্যাটাগরিতে রূপান্তরিত হইলে, বা ‘B’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোনো কোম্পানি বার্ষিক ন্যূনতম ৫% লভ্যাংশ প্রদান না করিলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬০ (ষাট) ট্রেডিং দিবসের মধ্যে উক্ত শেয়ারসমূহ আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উহা সমন্বয় করিবে।
(২) উপবিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, স্টক এক্সচেঞ্জ এর SME, ATB বা OTC প্ল্যাটফর্ম বা বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(৩) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার কারণে বিদ্যমান মার্জিন হিসাবে রক্ষিত কোনো সিকিউরিটি মার্জিন অর্থায়ন অযোগ্য (non-marginable) সিকিউরিটিতে রূপান্তরিত হইলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে, উক্ত সিকিউরিটি আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উক্ত হিসাব সমন্বয় করিবে;ব্যাখ্যা। এই উপবিধিতে “বিদ্যমান মার্জিন হিসাব” বলিতে এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার পূর্বের কোনো মার্জিন হিসাবকে বুঝাইবে।
১১ নং ধারায় মার্জিন অর্থায়নে বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে- কোনো ‘মার্জিন অর্থায়নকারী’ নিম্নোক্ত বিধি-নিষেধ বা শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে পরিপালন না করিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করিতে পারিবে না, যথা:
(১) কোনো গ্রাহকের হিসাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসের অব্যবহিত পূর্বের ০১ (এক) বছর গড়ে, ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার বিনিয়োগ না থাকিলে, উক্ত হিসাবে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নের পর কোনো মার্জিন হিসাবে (margin account) মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটি ব্যতিত অন্য কোনো সিকিউরিটি সংরক্ষণ করা যাইবে না;(২) উপবিধি (১) পরিপালন সাপেক্ষে, মার্জিন অর্থায়ন দিবসে উক্ত হিসাব বা পোর্টফোলিওতে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা বা সমমূল্যের মার্জিন সংরক্ষিত না থাকিলে, কোনো ভাবেই, উক্ত হিসাবে মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, বিদ্যমান গ্রাহকের মার্জিন হিসাবে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার কম পোর্টফোলিও মূল্য বা বিনিয়োগ থাকিলে, এই বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার ১ (এক) বছরের মধ্যে উক্ত মার্জিন হিসাবের পোর্টফোলিও ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকায় উন্নীত করিতে হইবে, নতুবা মার্জিন অর্থায়নকারী উল্লিখিত গ্রাহকের মার্জিন হিসাব সমন্বয় করত: উহা বন্ধ করিবে;
(৩) মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটির উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital) ন্যূনতম ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকা না হইলে উহাতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কারণে মার্জিন অর্থায়নকৃত কোনো সিকিউরিটি’র উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital) পরবর্তীতে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার নিচে নামিয়া গেলে, মার্জিন অর্থায়নকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অনতিবিলম্বে নোটিশ প্রদান করত: তৎপরবর্তী ৬০ (ষাট) ট্রেডিং দিবসের মধ্যে, উক্ত সিকিউরিটি আবশ্যিকভাবে বিক্রয় করিয়া উহা সমন্বয় করিবে:আরও শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটির উন্মুক্ত বাজার মূলধন (free float market capital), স্টক এক্সচেঞ্জ, উহার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করিবে;
(৪) মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটির পূর্ববর্তী মূল্য-আয় [trailing P/E (price earning ratio)] অনুপাত ৩০ (ত্রিশ) এর অধিক হইলে উহাতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিবেচ্য সিকিউরিটির মূল্য-আয় (P/E) অনুপাত ৩০ (ত্রিশ) বা খাতভিত্তিক মধ্যম মূল্য-আয় (sectoral median P/E)- অনুপাত এর দ্বিগুণ (double), যাহা কম হয়, তাহার ভিত্তিতে মার্জিন অর্থায়নযোগ্য সিকিউরিটি নির্বাচন করিতে হইবে;
(৫) মার্জিন অর্থায়নের জন্য পূর্ববর্তী মূল্য-আয় অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পন্থা অবলম্বন করিতে হইবে:পূর্ববর্তী মূল্য-আয় অনুপাত (trailing P/E ratio) সিকিউরিটির সর্বশেষ ট্রেডিং দিবসের সমাপনী মূল্য (closing price) ভাগ (1) সর্বশেষ ধারাবাহিক ০৪ (চার) প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় [EPS (Earning Per Share)] এর যোগফল:তবে শর্ত থাকে যে, মার্জিন অর্থায়নের জন্য বিবেচ্য সিকিউরিটি নির্ধারণের সুবিধার্থে স্টক এক্সচেঞ্জ, মূল্য-আয় অনুপাত (P/E Ratio) উহার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটির মূল্য-আয় অনুপাত (P/E Ratio) বা খাতভিত্তিক মূল্য-আয় (sectoral P/E) অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে শেয়ার প্রতি ঋণাত্মক আয়কে (negative EPS) কোনো ভাবেই বিবেচনা করা যাইবে না;
(৬) কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে (auditors’ report) সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ব্যবসার অস্তিত্বের হুমকি (going concern threat) বা এইরূপ ঝুঁকি উল্লেখপূর্বক বিরূপ মন্তব্য (qualified opinion) প্রদত্ত হইলে, উক্ত সিকিউরিটি বা ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে (auditors’ report) উক্তরূপ ঝুঁকির উল্লেখ থাকিলে, স্টক এক্সচেঞ্জ, উহা নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে;
(৭) কোনো সিকিউরিটি ইস্যুয়ার কোম্পানির ব্যবসায় কার্যক্রম (operation) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকিলে, উক্ত সিকিউরিটি বা ইস্যুয়ার কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কোম্পানির ব্যবসায় কার্যক্রম (operation) বন্ধ সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকিলে, স্টক এক্সচেঞ্জ, উহা নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে;
(৮) কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক উহার তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিকে ‘N’, ‘Z’, ও ‘G’, ক্যাটাগরিভুক্ত করা হইলে উহাদিগতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(৯) কোনো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় বা অ-তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(১০) মার্জিন অর্থায়নকারী বা উহার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত তালিকাভুক্ত বা অ-তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিতে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না:তবে শর্ত থাকে যে, গ্রাহকের নিজস্ব তহবিল বা জমাকৃত অর্থে উক্ত সিকিউরিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বাধা-নিষেধ প্রযোজ্য হইবে না;
(১১) কোনো পাবলিক অফার বা রাইট ইস্যুতে অংশ গ্রহণের নিমিত্ত কোনো মার্জিন হিসাবধারীর অনুকূলে কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না;
(১২) কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোনো পরিচালককে, কোনো অবস্থাতেই, স্বীয় কোম্পানির কোনো শেয়ার ক্রয়ের নিমিত্ত মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না; এবং
(১৩) কোনো অবস্থাতেই গ্রাহকের লককৃত (locked-in) বা বন্ধকীকৃত (liened) বা আবদ্ধকৃত (blocked) বা কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক কর্তৃক ধারণকৃত (directors’ shares) কোনো শেয়ার বা সিকিউরিটিকে মার্জিন হিসেবে জমা রাখিয়া কোনো মার্জিন অর্থায়ন করা যাইবে না।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply