মারমা শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জেরে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারির পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজার ও বাজারের আশপাশে খোলেনি কোনো দোকানপাট। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বের হচ্ছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়া জেলা সদরে মোতায়েন করা হয়েছে সাত প্লাটুন বিজিবি।
দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম-ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠনের এ অবরোধের কারণে জেলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করছেন অবরোধকারীরা। অবরোধের তৃতীয় দিনে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলায় অবরোধের সমর্থনকারীদের অবস্থান নেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম-ছাত্র জনতার ব্যানারে গত শনিবার ভোর পাঁচটায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply