রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও দুই সন্তানের খোঁজ পাওয়া গেছে। প্রেমিকা সাবেক অলিম্পিক জিমন্যাস্ট অ্যালাইনা কাবায়েভার গর্ভে জন্ম তাদের। জন্মগ্রহণের পর থেকে তারা একটি অজ্ঞাত স্থানে বসবাস করছে। রাশিয়ার একটি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সাবেক স্ত্রী লুদমিলা পুতিনের গর্ভে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে বর্তমানে ৭১ বয়সি পুতিনের। এই দুই সন্তানের কথাই প্রকাশ্যে স্বীকার করে থাকেন তিনি। ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী, তাদের ওই সন্তান হলেন মারিয়া (৩৯) ও ক্যাটরিনা (৩৮)।
১৯৮৩ সালে লুদমিলার সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন পুতিন। ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে ২০১৩ সালে তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর যতদূর জানা যায়, তিনি আর বিয়ে করেননি।
ডোসিয়ার সেন্টার নামের রুশ অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, লুদমিলার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার ছয় বছর আগে ২০০৮ সালের শুরুর দিকে কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক শুরু হয়। তবে এক দশকের বেশি সময় ধরে এ ধরনের কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছেন উভয়েই।
ডোসিয়ার সেন্টারের দাবি, পুতিন-কাবায়েভার দুই সন্তান রয়েছে। তাদের নাম যথাক্রমে ইভান পুতিন ও ভ্লাদিমির পুতিন জুনিয়র। ইভানের জন্ম ২০১৫ সালে এবং পুতিন জুনিয়রের জন্ম ২০১৯ সালে।
সংবাদ প্রতিষ্ঠানটি তাদের এ তথ্যের উৎস হিসেবে একাধিক অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়েছে। এসব সূত্র বলেছে, তারা নিয়মিতভাবেই পুতিনের ওই দুই সন্তানকে দেখে থাকে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা কাবায়েভা (৪১) ইভানকে জন্ম দিতে সুইজারল্যান্ডের লুগানোর একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। আর ভ্লাদিমির জুনিয়রকে তিনি জন্ম দেন রাশিয়ার মস্কোয়।
ডোসিয়ার সেন্টার বলেছে, ইভান ও ভ্লাদিমির-জুনিয়র দুজনই মস্কোর উত্তর–পশ্চিমে পুতিনের একটি বাড়িতে থাকে। তবে সমবয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তাদের কোনো ওঠাবসা নেই। গান, সাঁতার ও জিমন্যাস্টিকস শেখার জন্য তাদের রয়েছে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক।
শিশুসন্তান ইভান ও ভ্লাদিমির জুনিয়র দুজনই মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে পুতিনের একটি বাড়িতে থাকে। তবে সমবয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তাদের কোনো ওঠাবসা নেই।
গান, সাঁতার ও জিমন্যাস্টিকস শেখার জন্য তাদের রয়েছে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক। ইভান এরই মধ্যে জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। বাবা পুতিনের সঙ্গে মাঝেমধ্যে হকিও খেলে সে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই সন্তানের ব্যক্তিগত ইংরেজি শিক্ষকের পেছনে মাসে পুতিন পরিবারের খরচ হয় ৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার (টাকার অঙ্কে ১০ লাখ ৩ হাজার)। এ তথ্যের প্রমাণ হিসেবে ডোসিয়ার সেন্টার অনলাইনে দেয়া একটি বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করেছে।
বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুতিন পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পাসপোর্টধারী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে এ–ও উল্লেখ করা হয়, পরিবারটি (ইভান ও ভ্লাদিমির জুনিয়র) ‘বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস’ করে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply