বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

মাজারে দান করা নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৫ Time View

বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ মাজারে সদকা দেয়া এবং দান ও মানত করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করেছেন। সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, ‘মাজারে যত বেশি টাকা দেবেন তত বেশি গাঁজাখোরদের গাজা কিনতে সুবিধা হবে। কারণ মাজারের আশপাশে বেশিরভাগ গাঁজাখোররাই থাকে।’

এ সময় মাজারের টাকা কোথায় যায় তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে মিরপুর ও গুলিস্তানে মাজার আছে, আমি যতটুকু জানি, যদি ভুল না হয়, এসব মাজারের টাকা সরকারিভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। গাঁজাখোররা নিতে পারে না, কারণ তালা মারা আছে।’

মাজারে দান না করে কোথায় দান করতে হবে তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আপনি আল্লাহকে খুশি করার জন্য গরিব মানুষকে দান করবেন। ওই মাজারে দান করার ব্যাপারে কোরআন-হাদিসে কোনো নির্দেশনা নেই। বরং সেখানে মানত করলে গুনাহ হবে। এটা মানত করার কোনো জায়গা না। মানত করতে হবে সঠিক ও শুদ্ধ পদ্ধতিতে। যেভাবে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশনা দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধরে নিলাম, কবরে যিনি শায়িত আছেন তিনি অনেক নেককার ও বুজুর্গ মানুষ, আপনি টাকা দান করলে তিনি কি পাবেন? না, তিনি পাওয়া দূরের কথা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার পরিবার বা আত্মীয়স্বজনও পান না। পাবে সেই গাঁজাখোররা। সুতরাং কোনো মুসলমান সেসব জায়গায় টাকা দিতে পারে না।’

দানের সঠিক জায়গার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মাজারের পাশে অনেক গরিব থাকে, আপনি তাদের দান করবেন। ইসলাম আমাদের এমনই নির্দেশনা দিয়েছে। কোনো পীর সাহেব যদি মাজারে দান করার ফতোয়া দেন, তাহলে বুঝবেন এটা তার ব্যবসা।’

তিনি আরও বলেন, ‘দান কোথায় করতে হবে তা আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন, নিশ্চয় সদকা হচ্ছে ফকির ও মিসকিনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস মুক্ত করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা ৬০)

এ  আট খাতের মধ্যে মাজারের কথা উল্লেখ নেই। কোরআন-হাদিসে মাজারে দান করার কোনো নির্দেশনা নেই, তাই মাজারে দান করলে গুনাহ হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS