দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রী ভাতিজীকে কোচিং সেন্টারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পুলিশ ধর্ষক শিক্ষককে আটক করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐ শিক্ষককে বিদ্যালয় হতে দ্রুত বহিস্কার করে।
ধর্ষক শিক্ষক জেলার খানসামা উপজেলার পাকেরহাট ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র ও ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের প্রাথমিক বিদ্যালয় শাখার ধর্ম শিক্ষক এবং ধর্ষিতার ফুপা আব্দুল ওয়াজেদ আলী (৩৫)।
২৬ আগষ্ট সকাল ৯ টায় পৌর শহরের থানা সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকার প্রগ্রেস টিউটোরিয়াল হোম সেন্টার নামক কোচিং-এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঐ দিন রাত ৯ টায় এলাকাবাসী মেয়েটির রক্তাক্ত কাপড় সহ ১৬ মাইল আখিরা ডাঙ্গা গ্রামের রিস্কা চালক রবিউল ইসলামের কন্যা, বীরগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিবরনে জানায়, কোচিং বিকেল ২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত পড়ানোর নিয়ম থাকলেও ওই দিন সকল সাড়ে ৯ টার দিকে শিক্ষক ফুপা ওয়াজেদ আলী কোচিং এ আসতে বলে। সে সরল বিস্বাশে কোচিং এ গেলে তাকে জোর পূবক ধর্ষণ করে। সে দুপুরে বাড়ীতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে। বাবা মা ঢাকায় থাকার কারনে প্রতিবেশীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলো না।
এলাকাবাসীরা রাতে বীরগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে পুলিশের এসআই মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষক শিক্ষক ফুপা ওয়াজেদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
২৭ আগষ্ট সকালে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ মজিবুর রহমান জানায়, ঘটনাটি গতকাল রাতে জানার পরেই আইনী পক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ভিকটিকে সেফ রেখে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। শিক্ষক ফুপা ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা রুজু করা হয়েছে। যার নং- ১৭, তারিখ- ২৬/০৮/২০২৪।
ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের ৪ শিক্ষক কোচিং সেন্টারটি পরিচালনা করে। শিক্ষক কতৃক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষক ওয়াজেদ আটক হলেও বাকি ৩ পরিচালক শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন। শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply