ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনার মামলায় ৬৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর শামসুল আলম সিদ্দিকী সোমবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিবার (১৬ জুন) মৌটুপি গ্রামের কর্তা বাড়ী ও সরকার বাড়ীর লোকজনের মধ্য সংঘর্ষ হয়। এতে কর্তা বাড়ির নাদিম কর্তা (৫৫) নামে একজন সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত নাদিম কর্তাকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তিনদিন চিকিৎসারধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাদিমের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে বুধবার (১৯ জুন) বিকালের দিকে আবারও দুই বংশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। এছাড়া সংর্ঘষের সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এদিকে নাদিম কর্তা হত্যার ঘটনায় গত ২৪ জুন নিহতের ভাই বাকী কর্তা ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১০/১৫ জনকে।
মামলার বাদী বাকী কর্তা বলেন, সরকার বাড়ির চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার ভাইকে তারা হত্যা করে। ৫৪ বছর যাবত তারা আমাদের অত্যাচার নির্যাতন খুন করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আপোষ হবে না।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply