দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ ও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষক- কর্মচারীদের বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১ জুলাই সোমবার বেলা ১১টায় শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকে।
তাদের দাবী সভাপতি হিসেবে মোস্তাক শামীমকে নির্বাচিত করতে হবে, কেননা এলাকাবাসী ও নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠরাই তার পক্ষে কিন্তু জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে রাকিবুল ইসলাম মুক্তারকে সভাপতি বানানোর অপচেষ্টা লিপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সে সময় অভিভাবক সদস্য সফিকুল ইসলাম বাবুলসহ আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠানের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে, ছাত্রছাত্রী কমে গেছে।
নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য ফারুক ইসলাম বলেন, জাল জালিয়াতির হোতা প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও দূর্নীতিবাজ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ এর অপসরন ও সভাপতি বানানোর অপচেষ্টা রাকিবুল ইসলাম মুক্তারকে বাদ দিয়ে স্থানীয় মোস্তাক শামীমকে সভাপতি নির্বাচিত ঘোসনা না করা পযর্ন্ত আমাদের আন্দলন আরো ব্যগবান হবে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক হাজী আমিনুল ইসলাম জানায়, প্রধান শিক্ষক ৩ দিন যাবত আত্মগোপনে আছেন, তিনি কারো ফোন রিসিভ করছেন না এবং বিদ্যালয়েও আসতেছেন না। অভিভাবক সদস্য ও জনগণ দলবদ্ধ ভাবে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করে সকলকে তাড়িয়ে দিয়ে ৫ টি তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যপারে একাধিকবার মোবাইল করেও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে পাওয়া যায়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ-এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, জনগন তাদের আন্দোলন করতেই পারে, তাতে আমার করার কিছু নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষা অফিসারকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে, দাপ্তরিক কাজে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয় দিনাজপুরে অবস্থান করছেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন’২০২৪ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটের মাধ্যমে ৯ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জুন দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে মোস্তাক শামীম ও রাকিবুল ইসলাম মুক্তা নামে দুজন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে কোনো রকম রেজুলেশন ও ভোট ছাড়াই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অভিভাবক সদস্যদের মৌখিক কথার ভিত্তিতে রাকিবুল ইসলাম মুক্তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ নানা প্রশ্নের সম্মুখীন এবং শারিরীক লাঞ্ছিত হন এবং ৩০ জুন রবিবার বেলা ৪ টায় বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিজয় চত্বরে শতগ্রাম ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আধা ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply