নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আধ্যাবদি দেশ ও তাদের নিজেদের পরিবারের স্বার্থে কঠিন পরিশ্রম করে দেশে অর্থ পাঠিয়ে আসছেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তূ বাস্তবতা হচ্ছে প্রবাসীরা নিজ দেশে নানাভাবে নিগৃহীত, নিপীড়িত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশী অভিবাসী পরিষদ।
এই পরিষদ সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমন্বয় করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবে।
প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশী প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদ আপনার নিকট কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করছি।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশী প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায়ও অবদান রাখছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও আরও অনেক সমস্যা প্রবাসীরা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রবাসী অভিবাসী পরিষদ আপনার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট প্রবাসী বাংলাদেশীদের গুরুত্বপূর্ণ ও ন্যায্য দাবিগুলো পেশ করছিঃ-
১: প্রতিটি প্রবাসীদের পেনশনের আওতায় আনতে হবে।
২: প্রবাসীর মৃত্যুর পর এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে।
৩: প্রবাসীর লাশ সরকারি খরচে তার পরিবারকে হস্তান্তর করতে হবে।
৪: প্রতিটি প্রবাসীকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনা হোক। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের জন্য পেনসন স্কীম চালু করতে হবে যাতে বৃদ্ধ বয়সে তাদের জীবন যাপন করা সহজ হয়।
৫: প্রতিটি প্রবাসীকে আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে হবে।
৬: প্রবাসী পাসপোর্ট নবায়ন হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
৭: প্রবাসীদের জন্য দূতাবাস সহায়তা জোরদার করতে হবে।
৮: দূতাবাসের মাধ্যমে সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক প্রবাসীদের সেবা প্রদান করতে হবে।
৯: প্রবাসী যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমন করিবে চুক্তি অনুযায়ী তার ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। প্রবাসীরা যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হয় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
১০: প্রবাসীকে সরকারি খরচে ও স্বল্প মুনাফা ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হবে।
১১: প্রবাসীদের ভোটের অধিকার ও অনলাইনে ভোট প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১২: এয়ারপোর্টে হয়রানি , অপমান, লাঞ্ছিত শিকার হয়ে থাকে তা বন্ধ করতে হবে।
১৩: প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনীয় সরকারি খরচে ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি খরচের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৪: পেশা “প্রবাসী” প্রবাসীদের নথি ভুক্ত করতে হবে।
১৫: প্রবাসী নিয়োগ কর্মকর্তা দ্বারা প্রতারিত হলে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে।
১৬: অনেক প্রবাসীদের সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পদ প্রবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে আবেদন।
১৭: প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৮: অনেক প্রবাসীর নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারে ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৯: দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রবাসীদের প্রতি সহনশীল হতে হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply