শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

গ্রামীণফোনের ২৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ১২২ Time View

পুঁজিবাজারে গ্রামীণফোনের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতিমালা মেনে ও শেয়ার হোল্ডারদের নির্বিঘ্ন ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়; যা কোম্পানির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।

এজিএমে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল; গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল বলেন, ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটালাইজেশন এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনের চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে। ভবিষ্যতের উপযোগী একটি টেলকো-টেক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ইবিআইটিডিএ ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং ইতিবাচক টপ-লাইন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণে এবং ভবিষ্যতের উপযোগী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বিনিয়োগের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো, প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওর সহজীকরণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।

তিনি বলেন, গ্রামীণফোন একটি টেলকো-টেক কোম্পানি হয়ে ওঠার জন্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে; যা ডিজিটালভাবে সংযুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশে সবার জন্য একটি অগ্রসরমান, ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি।

গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের জন্য ২০২৩ সাল ছিল রূপান্তরের বছর, এ বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা কোম্পানিটিকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে আরো অগ্রসর করেছে। গ্রাহকরা সবসময়ের মতো আমাদের অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে। গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলো পূরণ এবং সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, আধুনিকীকরণ এবং ক্রমাগত বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক সংঘাত সত্ত্বেও সকল কর্মী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে কোম্পানিটি।

একটি স্মার্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের জন্য ডিজিটালাইজড সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক পণ্য এবং আইওটি সল্যুশন চালু করেছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমানো, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, জেন্ডার বৈষম্য কমানো এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে কাজ করছি আমরা।

টেকসই উন্নয়নের প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্লুমবার্গ। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যৎ তৈরিতে আমাদের ভূমিকাও উঠে এসেছে। বর্তমানে যখন আমরা স্মার্ট ডিভাইস, কানেক্টিভিটি ও এআই কে সাদরে গ্রহণ করছি; একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনধারার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময় ।”

এজিএম-এ গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১২৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে, যা ২০২৩ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS