ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় আরো তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়া কন্যা আনিকা আক্তার (২২), অপরজন ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার চন্দন দে স্ত্রী রুপা দে (৩৫) ও পুলিশ সদস্য সোহেল রানার কন্যা মাহমুদা (৭)।
রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল আড়াইটা দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা করে বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালুবাহী ব্লাকহেড পর্যটকবাহী নৌকাকে ধাক্কা দিলে নৌকাটি সাথে সাথে ডুবে যায়। এই ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর সেতু এলাকা ও পুলতাকান্দা এলাকায় ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়া নৌকা দুর্ঘটনায় আরো তিন জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, মানিকখালির বেলন দে (৫০), পুলিশ সদস্য সোহেল রানা (৩২) ও তার ছেলে সন্তান রায়সুল (৫)।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সাদেক জানান, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে নৌ-থানায় আসি। আমি তার মেয়েকে চিনি। থানায় এসে তার মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেছি।
নিহত আনিকা আক্তারের পিতা দারু মিয়া বলেন, আজ দুপুরে খবর পাই আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে থানায় এসে আমার মেয়ের লাশ দেখে আমি সনাক্ত করি।
নিহত রুপা রানী দে জা রুমা রানী দে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর আজ রোববার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে খবর পেয়ে আমরা আমার ভাইয়ের বৌ এর মরদেহ এসে সনাক্ত করেছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য গতকাল ২ জন আর আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে মেঘনা নদী থেকে আরো ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজের মধ্য এখনো আরো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply