রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্সুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ কোহিনূর কেমিক্যালের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ঢাকা ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়ার লিজিং সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা: প্রায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা, বিমান বাংলাদেশের ৩ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি, প্রায় ৪০ হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অষ্টগ্রামে বাঙ্গাল পাড়ায় নদী ভাঙনে বাড়িঘর ও বিদ্যুৎ লাইনের খুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে ঢাকাস্থ বগুড়াবাসীর মিলনমেলা অনুষ্ঠিত ভৈরবে নৌ পুলিশের অভিযানে ভারতীয় ৬০ বস্তা ফোসকা সহ আটক ৪ ব্লাকহেড জব্দ

এবারও চা উৎপাদনে উত্তরাঞ্চল ২য়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দেশের উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় প্রতি বছর বাড়ছে চায়ের আবাদ। সদ্য সমাপ্ত (২০২৩) মৌসুমে ১২ হাজার ১৩২ দশমিক ১৮ একর সমতল জমির ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্রায়তনের বাগান থেকে চা উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি। যা বিগত বছরের তুলনায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২৬ কেজি বেশি। এই উৎপাদনে টানা তিনবারের মতো উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে এ অঞ্চল। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

চা বোর্ড জানান, এ বছর এ সব বাগান থেকে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৪ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৮টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। 

চা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২২ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ০৬ একর। উৎপাদন হয় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি। সেই তুলনায় গত বছরে আবাদ বেড়েছে ৫৩ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২৬ কেজি। 

চা বোর্ড আরও জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে। আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও যাচ্ছে। চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চা বোর্ডের তথ্যমতে, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার মোট ১২ হাজার ১৩২ দশমিক ১৮ একর সমতল জমির চা আবাদের মধ্যে পঞ্চগড়ে রয়েছে ১০ হাজার ২৬৭ দশমিক ২৮ একর। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২৪৮ দশমিক ০২ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর আবাদ হয়েছে।

পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পপনা হাতে নেয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। বিগত বছরগুলোতে এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিনি বলেন, টানা তিনবারের মতো এ অঞ্চল চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় বাজারজাত পর্যাপ্ত না হওয়ায় ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ফলে ক্ষুদ্র চাষিরাও কাঁচা পাতার দাম পাচ্ছেন না। ন্যায্য দাম এবং বাজারজাতে জটিলতা না হলে আবাদ এবং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেত।

তিনি আরও বলেন, চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের’ মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে মোবাইল এপস চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পোস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS