শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সেই কর্মসূচি আর শান্তিপূর্ণ থাকেনি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সমাবেশ ঘিরে সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। একাধিক গাড়ি পুড়িয়ে সৃষ্টি করে ভয় ও আতংকের পরিস্থিতি।
তবে দিনশেষে নিজেদের আসল চরিত্র দেখিয়ে হরতালেরও ডাক দেয় দলটি। আর এতে সমর্থন দেয় মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত দল জামায়াত। দুই দলের ডাকা হরতালে রোববার (২৯ অক্টোবর) বাসে দেয়া আগুনে পুড়ে মরেছেন চালকের সহকারী। আবার বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় জনগণের ধাওয়ায় প্রাণ গিয়েছে এক যুবকের। জ্বালাও-পোড়াও ও মৃত্যুর পাশাপাশি ঘটেছে ভাঙচুরের ঘটনা।
৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতালের শুরুতেই ভোরে ডেমরায় একটি বাসে দেয়া আগুনে নাঈম নামে এক শ্রমিক দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। আর মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার ধাওয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এছাড়া দিনভর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শিকড় পরিবহন, মোহাম্মদপুর চার রাস্তার মোড়ে স্বাধীন পরিবহন, মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে পরিস্থান পরিবহন এবং বংশালে বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে আগুন দেয়া হয়। বিআরটিসির বাস ভাঙচুর করা হয়।
এছাড়া হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
তবে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও এবং আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মহাসমাবেশের নামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৪টি মামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ ৬৮২ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেল।
বর্বর হামলায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার তথ্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের মতো আবার আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে। গতকাল ছাত্রদল নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে আজ তারা হরতাল ডেকেছে। আজ ডেমরায় তারা গাড়ি পুড়িয়েছে। গতকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ চলাকালে তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলাসহ গাড়িতে আগুন, পুলিশ হত্যা ও সাংবাদিকদেরও মেরেছে। এর দায় তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদেরই নিতে হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply