সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

বাবা দিনমজুর, টিউশনির টাকায় চলে সংসার স্বপ্ন ঢাকায় কলেজে পড়া, গোল্ডেন এপ্লাস পাওয়া সোহেল

ইমন মাহমুদ লিটন
  • আপডেট : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৮৮ Time View

ভৈরব(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি: বাবা দিন মজুর ও ছেলের  টিউশনির টাকায় চলে সংসার । পরিবারে অভাব-অনাটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী । এর পরও টিউশনি করে লেখা পড়া চালিয়েছেন সোহেল আহমেদ । সীমাহীন দারিদ্র, শতকষ্ট কে পিছনে ফেলে অলংঘনীয় সব বাধা পেরিয়ে এস সি পরীক্ষায় ( গোল্ডেন এ+) পেয়েছেন সোহেল । পরীক্ষা দিয়েছিলো ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। পঞ্চম শ্রেণীতে ও জিপেএ ৫ পেয়েছিলো সে।

সোহেল আহমেদ বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর  ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড জন্ম গ্রহন করেন  । তার বাবা মো. আওয়াল মিয়া প্রায় ২৫ বছর যাবত ভৈরব বাজারে কলির কাজ করে যাচ্ছে । মা মোছা: স্বপ্না বেগম একজন গৃহিণি।

বাবার দিনমজুরী ও ছেলের  টিউশনির সামান্য আয়ে চলে তাদের সংসার ও পড়া লেখা । ৩ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সোহেল  তৃতীয় ।

সোহেল বলেন, ‘আমার সকল কষ্ট সার্থক হয়েছে। আমি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই।’মা স্বপ্না বেগম বলেন, আমার ছেলে মাঝে মাঝে অনাহারে স্কুল যেতো। পরিবারে লোকজন বেশি এর ফলে আমার স্বামী দিনমজুরের সামাণ্য আয় দিয়ে সংসার চলে না । অভাবের কারনে  আমার ছেলে সোহেল  টিউশনি করে ।  টিউশনির টাকায় তার পড়া লেখা  কোন রকমে  চলছে। সে প্রত্যেক ক্লাসে ভালো ফলাফল করেছে। হাই স্কুলে লেখা পড়া করা অবস্থায় স্থানীয় একজন শিক্ষক ইব্রাহিম মাষ্টার তার পড়া লেখার সহযোগিতা করেছিল। আমরা গরিব মানুষ । আমাদের তো আর সামর্থ নেই ছেলে কে কলেজে পড়াতে। এখন কোন দানশীল ব্যক্তি যদি তার লেখা পড়ার খরচ বহন করে । তাহলে সে পড়া লেখা চালিয়ে যেতে পারবে।’

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সভাপতি এডভোকেট মো: আবুল বাশার বলেন মেধাবী ছাত্র সোহেলের  বাবার জমিজমা কিছু নেই । তার পরও তার ছেলে অনেক কষ্টের মাঝে সব ক্লাসে ভাল ফলাফল করেছে। তিনিও ছেলেটির হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। শ্রীনগর  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, সোহেল আহমেদ ছেলেটি খুবই মেধাবী ও অমায়িক । দারিদ্রের কারনে স্কুলে আমরা তাঁকে লেখাপড়ার উপকরণ ও ফ্রি পড়ার বন্দ্রোবস্ত করেছি। তার বাবা খুবই গরিব।

শিক্ষাণুরাগী কেউ তার পড়াশুনায় সহযোগিতা করলে, সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবে । ভবিষতে ভাল কিছু করবে-এমন প্রত্যাশাই ঝরে পড়লো প্রধান শিক্ষকের মুখেও

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS