মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

হিরো আলমের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩
  • ২১৪ Time View

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার নির্বাচনের পরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ জানান।

ঢাকার ধানমন্ডিতে এক কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানাতে মঙ্গলবার মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে আসেন হারুন। সেখানেই ওঠে হিরো আলম প্রসঙ্গ। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, “হিরো আলমকে যারা মেরেছে, ভিডিও দেখে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”

গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাক, সেটা বিবেচনায় আসবে না।”

বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে আলোচনায় আনেন ইউটিউবার হিরো আলম। এর আগে বগুড়া থেকে নির্বাচন করা এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন একতারা প্রতীক নিয়ে।

ভোটের দিন সোমবার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের পরিস্থিতি দেখছিলেন হিরো আলম। পরে ভোটগ্রহণের শেষ দিকে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম। তখন নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’। এরপর হিরো আলমকে ধাওয়া শুরু করেন।

তখন কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেইটের বাইরে দিয়ে আসেন। এরপর হিরো আলমকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়।

এক্ষেত্রে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কারো কোনো গাফলতি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এখন পর্যন্ত হিরো আলমের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা মামলা না দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেছেন,“সহিংসতা ছাড়াই প্রত্যেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মৌলিক মানবাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।”

আর হামলার বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।”

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS