শুকনো পাত্রেও এডিস মশার ডিম বেঁচে থাকে ৬ মাস পর্যন্ত। একটি মশা কামড়ায় তিনজনকে। আর স্বচ্ছ পানির কথা বলা হলেও লার্ভা মিলছে নোংরা পানিতেও। মাঠ পর্যায়ে লার্ভা সংগ্রহে উদ্বেগজনক এমন তথ্যই জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা।
জানা গেছে, প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের কোনো বিকল্প নেই। দিন যতোই গড়াচ্ছে ততোই ভয়ংকর হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ওমর ফারুক বলেন, ডেঙ্গু বাড়ার প্রধান কারণ অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা। এছাড়া মানুষের সচেতনতারও অভাব রয়েছে। এ সময় তিনি বৃষ্টিকেও ডেঙ্গু বাড়ার জন্য দায়ী করলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিচালক শামীম আহসান বলেন, চট্টগ্রামের আবহাওয়া বেশি শীতও না আবার গরমও তেমন পড়ে না। এটা ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা। এছাড়া বৃষ্টিতে বহুদিন পানি জমে থাকায়ও ডেঙ্গু বাড়ছে।
চট্টগ্রাম জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাউছ বলেন, ‘সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, নোংরা পানিতেও ডিম দিচ্ছে এ মশা। ঘরে-বাইরে সব স্থানে এডিস মশার বিচরণ। বাসাবাড়ি, নালানর্দমা ও পরিত্যক্ত টায়ারের গুদাম থেকে সংগ্রহ করছেন এডিস মশার লার্ভা। শুধু স্বচ্ছ নয়, নোংরা পানিতেও পাওয়া যাচ্ছে এডিসের লার্ভা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখা যায় শুকনো পাত্রেও এডিসের ডিম বাঁচে ৬ মাস!’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আগে থেকে সতর্ক করার পরও ব্যবস্থা না নেয়ায় এখন লাগামহীন ডেঙ্গু। তারপরও ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্য বলছে, ৪ থেকে ৫ দিনের জমা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। আর এক কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে কমপক্ষে তিনজনকে কামড়ায় এ মশা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply