বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইনফরমেশন সার্ভিসেস দরপতনের শীর্ষে রহিমা ফুড দরবৃদ্ধির শীর্ষে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সোনালী আঁশ তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স মালয়েশিয়ার ১০ শর্ত প্রত্যাহার ও ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ বায়রার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা পাবেন আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মীরা জনগণের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়াটাই দেশপ্রেম, বিভাগীয় কমিশনার গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লার সাথে জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর শাহীন মাহমুদের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যক্তিগত এবং ব্যাংক হিসাবে নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছে দুদক

আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ২৭৪ Time View

ভিসা নীতি ও স্যাংশন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে নিজেদের করণীয়টুকু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ জুন) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশন দেবে, ও নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব।’

জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কল্যাণে ত্যাগ করলে, তার মূল্যায়ন করে জনগণ। দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।’

যারা ক্ষমতায় যেতে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান থেকে খালেদা জিয়া সবাই কিন্তু অপচেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু কেউ এই সংগঠনকে ভাঙতে পারেনি, আর পারবেও না।

বিএনপির গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির শাসনামলে দেশটা ছিল লুটেরাদের রাজত্ব। অবাধ নির্বাচন করতে না পারা বিএনপি এখন সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের বুলি আওড়াচ্ছে। তারা ভোট চুরি করেছিল বলে, সবাইকেই তারা ভোটচোর মনে করে। কথায়-কথায় তারা আমাদের সমালোচনা করেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, তাদের শাসনামলে দেশ ও দেশের মানুষ কী পেয়েছে?

বিএনপি মিথ্যাচার করছে এমন অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখনও তাদের দুর্নীতির টাকা আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের টাকায় দেশের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-সমালোচনা করে যাচ্ছে। কিন্তু সত্যের জয় সবসময় হয়।

বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে যারা সংশয় প্রকাশ করছেন তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে যারা বলছেন বাস্তবায়ন করতে পারবো না, তারা সব সময় একই কথা বলে যাচ্ছেন। আর আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টানা তিন বার জনগণ ভোট দিয়েছে বলে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আমরাও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি। আর দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য।

বিএনপি মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলারের কিছু বেশি রেখে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা দুই হাজার ৮০০ ডলারের বেশি মাথাপিছু আয়কে নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন তা নানা কারণে ২৭০০-তে নেমেছে। আগামীতে আবারও বাড়বে। ২০০৮ এর দিকে তাকালে বোঝা যাবে ১৪ বছরে দেশকে আওয়ামী লীগ কোথায় এগিয়ে নিয়েছে।

যুদ্ধ, করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহে বেগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। তবে এখন গ্যাস, তেল ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভোগান্তি বেড়েছে। যুদ্ধ, করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সুখবর হলো–কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। শিগগিরই জ্বালানি হাতে পেলে কষ্ট দূর হবে।’

জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একবার কেউ বিদ্যুতে অভ্যস্ত হলে তা না পেলে ভোগান্তি বাড়ে। আমরা সব ধরনের সমস্যা কাটিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কাজ করছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ, যে খরচ যায় তার বিপরীতে আমরা অর্ধেক খরচ নিচ্ছি। পানির পরিশোধনেও একই অবস্থা। তাই সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS