বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

ডিম ও মুরগির জাতীয় কমিটি কর্পোরেটদের দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০ মে, শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ এবং কর্পোরেট কোম্পানীর সিন্ডিকেট ভাঙ্গার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

বক্তারা বলেন, প্রাণিসম্পদ ডি এল এস এর সহযোগিতায় কর্পোরেট আধিপত্য বিস্তার। ছোট খামারি ও ডিলাররা পোল্ট্রি  শিল্পের বিকাশ ঘটালেও আজ তারা অসহায় প্রতক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত ৫০ লক্ষ প্রান্তিক উদ্যেক্তা জিম্বি হয়ে পড়েছে গুটি কয়েক ব্যাক্তির কাছে।

১. বাংলাদেশ পোল্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) প্যারাগন, আফতাব, নারিশ,কাজী, নাহার, সিপি, পিপলস

২. (ব্রিডার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিএবি)

৩. ফিড ইন্ড্রাস্টিজ এসোসিয়েশন (ফিআব) (প্রান্তিক খামারিদের মুরগি বাজারের আসলে দাম কমে যায়।

যে উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হয়। ভুট্টার দাম ২০২১ সালে দাম ছিল ২৮টাকা কেজি, ৫০কেজির ১বস্তা পোল্ট্রি ফিডের ছিল ২৫০০ টাকা,২০২২ সালের শুরুতে ভট্টার দাম ছিল ২৮টাকা, ৫০কজির ১ বস্তা ফিডের দাম ছিল ২৭০০ টাকা, ২০২২ সালের উক্রেন রাশিয়া যুদ্বের দোহাই দিয়ে  লাগাম হীন ফিডের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয় লাস্ট ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ভুট্টার দাম হয় ৪১টাকা পোল্ট্রি ফিডের দাম পৌঁছায় ৩৭৪০ টাকায়। কিন্তূ মার্চ ২০২৩ থেকে ভুট্টার দাম কমে দাঁড়ায় ২৪ থেকে ২৬ টাকায় পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে ৬০% ভুট্টা প্রয়জন হয়  সেই ভুট্টার দাম কমেছে কেজিতে ১৬ টাকা এবং অন্য উপাদান ৪০%  আন্তর্জাতিক বাজারে ফিড উৎপাদনের সকল পণ্যের দাম কমেছে ১০ থেকে ১২টাকা কিন্তূ সকল পণ্যের দাম কমার দুই মাস পরেও কোম্পানি গুলো। ৮-৫-২৩ তারিখ থেকে পোল্ট্রি ফিডের দাম কমিয়েছে লোক দেখানো  ৫০ কেজির বস্তায় ৭৫ টাকা মাত্র, এখন  ৫০ কেজির ১বস্তা ফিডের ৩৬৫০ টাকা, ১টি মুরগির বাচ্চার দাম ৭০থেকে ৯০ টাকা, উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা। পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ২৪০০টাকা থেকে ২৬০০ টাকা কর্পোরেট গ্রুপের ফিড বাচ্চা সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।

ডিম ও মুরগির দাম কমিয়ে রাখতে ও খামারিদের উৎপাদিত পণ্যে যৌক্তিক মূল্য সংযোজন করতে হবে পোল্ট্রি ফিডে ৫০কেজির বস্তায় ৬০০ টাকা দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছি। অন্য দিকে প্রান্তিক খামারি কোম্পানিকে মুরগি দেয়ার শর্তে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে নামে চলে দাদন ব্যবসা  ৫০কেজির ১বস্তা ফিডের দাম হিসাব করে ২৬০০টাকা ১টি বাচ্চার দাম, সারা বছর ৩৫টাকা। কোম্পানির সাথে চুক্তিতে না গেলে ফিডের বস্তার দাম ৩৬৫০টাকা ও বাচ্চার দাম ৬০থেকে ৯০ টাকা দিয়েও  অনেক সময় চুক্তির বাহিরে বাচ্চা বিক্রয় করেন না। প্রান্তিকদের ব্রয়লার মুরগি ১কেজি উৎপাদন খরচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা হলেও বাধ্য হয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা  কমে বিক্রয় করতে হয়। বাজার কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা বাজার বাড়াতে চাইলে বাড়ে কমাতে চাইলে কমে। আজ ৪-৫-২৩ তারিখ থেকে প্রান্তিক খামারিদের পণ্য বাজারের আসায় কর্পোরেট গ্রুপ গুলো ইচ্ছে করে দাম কমিয়ে দিয়ে লসে ফেলে দেয় খামার পর্যায় বাজার দর দিয়েছে তাদের দেয়া দামেই বিক্রয় করতে হয় মে মাসের ৫তারিখ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বাজারের চিত্র তুলে ধরলাম। ৫তারিখ ১৮৪টাকা ৬তারিখ ১৭১টাকা ৭তারিখ ১৪৯ টাকা ৮তারিখ ১৪২টাকা ৯তারিখ ১৩৫ টাকা। এই বাজার পেয়ে প্রান্তিক খামারি হারিয়ে যাবে। অন্য দিকে কর্পোরেট গ্রুপের  মুরগি বাজারে আসলে দি গুন্ লাভ করেন ।কর্পোরেটদের ব্রয়লার ১কেজি মুরগির উৎপাদন  খরচ ১১৯ থেকে ১৩০ টাকা । খামার পর্যায় বিক্রয় করেন ১০-৫-২৩ তারিখ দাম বাড়ে দেয় ১৬৪ টাকা ১১ তারিখ ১৯২টাকা কেজিতে লাভের পরিমান ৬০ থেকে খামারিদের লস করানোর কারণ বাজার তাদের দখলে নিতে খামারিদের ব্যবসা থেকে সরিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছেন এবং তাদের সাথে চুক্তি ভিক্তিক খামারে নিতে চান তারা। এই বৈষম্য দূর করে বাজারে প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে হবে । আসছে ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বাজেটে বাজারের শেয়ারের ২০% ডিম মুরগি উৎপাদন কারি সিন্ডিকেট কর্পোরেট গ্রুপের সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করে। ডিম মুরগি উৎপাদনে  ৮০% শেয়ারের প্রান্তিক পর্যায়ের  খামারিদের সুরক্ষা দিতে হবে ক্ষুদ্র খামারিদের ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সকল ব্যাংক থেকে ঋণ এর ব্যবস্থা করে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে। তা  না হলে এক ভবিষ্যতে আমিষের ঘাটতি দেখা দিবে। ডিলার খামারিরা ব্ল্যান্ক চেকের মাধ্যমে জিম্বি হয়ে পড়েছেন কোম্পানির  কাছে। সিন্ডিকের বিরুধ্যে শাস্তির ব্যবস্থা না হলে ডিম মুরগি বেশি দামে কিনে খেতে হবে জিম্বি হয়ে পড়বে ভোক্তা ও বাজার ব্যবস্থা। পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডি এল এস এর  কর্মকর্তাদে  কোন ভূমিকা দেখছি না। তারা কর্পোরেটদের সহযোগিতা করে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন ।এমন কি তারা পোল্ট্রি নীতিমালা ২০০৮ খসড়া করে বাজার সিন্ডিকেটের যন্ত্র কন্ট্রাক ফার্মিং কে বৈধতা দিতে যাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্থিতিশীল  বাজার রাখতে হলে  কোম্পানি গুলো ফিড ও বাচ্চা উৎপাদন করে ১০০% তাই করবে এবং তাদের কন্ট্রাক ফার্মিং ও কোম্পানিদের ডিম মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। প্রান্তিক খামারিরা ডিম মুরগি উৎপাদন করবে কখনো বাজার সিন্ডিকেট হবে না।

খামারিদের সংগঠন বিপিএ  দীর্গ দিন ধরে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে ও বাণিজ্য মন্ত্রীর এবং সচিব মহাদয় সহ প্রাণিসম্পদে এবং ভোক্তা অধিদপ্তর সহ সকল কর্মকর্তাদের অবহিত করে স্বারক লিপি প্রধান করে পোল্ট্রি বোর্ড ও মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার দাবির জানানোর পরিপেক্ষিতে খামারিদের উৎপাদিত ডিম মুরগি পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ সমন্বয় করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের জন্য  বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সকল স্টক হোল্ডারদের নিয়ে কমিটি করতে বলা হয় প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তাদের। সেই কমিটি কর্পোরেট সিন্ডিকেটদের আদিপত্তর বিস্তার। সেখানে খামারিদের সংগঠন বিপিএ এর  সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদক মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫-১২-২২ ইং ১৭-৪-২৩ ইংরেজি তারিখে দুইটি মিটিংএ সশরীরে উপস্থিত থাকলেও তাদের মতের সাথে মিল না হওয়ায় রাখা হয়নি কমিটিতে। রাখা হয়েছে ২০% উৎপাদন কারি কর্পোরেট গ্রুপের কয়েকটি এসোসিয়েশন ও এস এম এস দিয়ে যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তাদের নিয়ে কমিটি করা হয়। সাবেক ডিজি ও কর্পোরেটদের হস্তক্ষেপে  প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে রাখা হয়নি ৮০% ডিম মুরগি উৎপাদন কারি প্রান্তিক খামারিদের ।কমিটির প্রধান করা হয়েছে কর্পোরেটদের মুখপাত্র এবং এস এম এস দিয়ে বাজার নিয়ন্তন কারি বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনে সংগঠনের উপদেষ্টা প্রাণিসম্পদের সাবেক ডিজি মোসাদ্দেক হোসেন ও কর্পোরেটদের এসোসিয়েশন গুলো নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডিম মুরগির যোক্তিক মূল্য নির্ধারণ কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায়  প্রাণিসম্পদের ডি এল এস কে দায়িত্ব দিলেও তাদের সাথে খামারিদের যোগাযোগ নেই এমন কি প্রান্তিক খামারিদের খামার নিবন্ধন সহ খামার করার জন্য নিরুসাহিত করা হয়। প্রাণিসম্পদের গুটি কয়েক কর্মকর্তা ও কর্পোরেট গ্রুপের এসোসিয়েশন গুলোর বিরুদ্বে  তদারকি করে শাস্তির ব্যাবস্থা করুন। পোল্ট্রী শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। পোল্ট্রি শিল্প ও প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদনে ধরে রাখুন বৃহত্তর ৫০লক্ষ লোকের  কর্মসংস্থান  রক্ষা করুন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ-সভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার সভাপতি সানাউল্লাহ, কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি নুরুল ইসলাম, খুলনা জেলার সভাপতি অমিত রায়, রাজশাহী জেলার সভাপতি ইয়াসিন, ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি মকবুল হোসেন সাগর, টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি ফরহাদ হোসেন সহ অন্যান্য সকল জেলার নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS