নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৯৮১ সালের ১৭ই মে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং গণতান্ত্রিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
আজ ১৭ মে ২০২৩ (বুধবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ৭৫’র হত্যাকান্ডের সময় জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশের গণতন্ত্র আর প্রগতিশীল রাজনীতির ধারাকে ফিরিয়ে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশের মাটিতে পা রেখে আপ্লুত নয়নে বেদনাতুর হৃদয়ে তিনি বলেছিলেন—“সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, আমার আর হারাবার কিছু নেই। আপনাদের মাঝেই সবকিছু খুঁজে পেতে চাই।” বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলার সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরে পায় অতীত ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের উন্নয়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার। উন্নয়নের ধারাকে চলমান রাখতে শেখ হাসিনার সরকার কে টানা তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রাখে বাংলার জনগন। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিরোধী দেশি—বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদেরকে মোকাবেলা করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্বত রাখা হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি জননেতা এম. এ জলিল, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র দাস, ওলামা লীগের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ্ নাফিয়ী, বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন, জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আছিয়া আক্তার সহ বিভিন্ন পার্টির নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সি এম মানিক, শেখ বাদশাউদ্দিন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মালেক, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ—সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম শেখ, ঢাকা উত্তরের সভাপতি মঈনুল হোসেন মিলন জোয়ার্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ডালিম হোসেন প্রমুখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS