রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

কাল বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামীকাল ১৭ মে ২০২৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু-কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আজ প্রদত্ত এক যুক্ত-বিবৃতিতে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন Ñ

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে  সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তারপর দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সামরিক শাসকদের তৈরি করা শত বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে তিনি ১৭ মে ১৯৮১ তারিখে দেশে ফিরে আসেন। ঐতিহাসিক এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাই রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে এবং দিবসটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে।

এই দিনটির প্রসঙ্গে আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি যখন বিমানবন্দরে অবতরণ করি তখন আমি আমার নিকটাত্মীয়দের কাউকে পাইনি, কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার একমাত্র শক্তি এবং আমি এই শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আমরা উন্নত অভিযাত্রার এক বাংলাদেশকে পেয়েছি।

তাঁর বিরুদ্ধে শত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এখনও চলছে, কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশের মানুষ তাঁর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ^াস রেখেছেন। তাই ১৭ মে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেত্রীর প্রত্যাবর্তন ছিল না, ছিল দেশে অসাংবিধানিক সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন; সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের উত্থানের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তির দর্শন ও মানবতাবাদের প্রত্যাবর্তন; দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বিনির্মাণের লক্ষ্যে সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর, খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি তা অব্যাহতভাবে প্রমাণ করে চলেছেন। প্রযুক্তিতে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশকে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে তিনি পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।

জননেত্রীর ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সুস্থ ও দীর্ঘজীবন কামনা করি। আমরা আগামী দিনগুলোতেও তাঁর নেতৃত্বে বাংলােেদশের উন্নতির এই অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS