চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মা আমেনা বেগমকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার দায়ে ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সাজা পাওয়া রেদওয়ান হোসেন মিলন জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন তার মা আমেনাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ কাপড় ও কম্বল মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ভোর ৫টার দিকে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকলে মেঝেতে আমেনার মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিলনকে আটক করে।
পরে আমেনার ভাই টিপু সুলতান বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মিলন জানান, চিকিৎসার জন্য তাকে ২-৩ জন ডাক্তার দেখান তার মা আমেনা। এ নিয়েই তিনি মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর জেরে ফজরের আজানের আগমুহূর্তে মিলন তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে কাপড় ও কম্বল মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।
২০২২ সালের ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. অলিউল্লাহ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি নিজেই তার মাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply