নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক এস. এম. আশিক বিল্লাহ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন, টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রয়াত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহে উপজেলার নারী নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গার্ড অব অনার দিতে বাধা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী এক কলঙ্কজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। তার এই কাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবমাননাকর। নারীর প্রতি মধ্যযুগীয় মনোভাবপ্রসূত। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতির এই ন্যক্কারজনক কাজ নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক এবং সংবিধানে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের পরিপন্থি। তার এই গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজের জন্য কাদের সিদ্দিকীর উচিত দেশের দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা।
মঙ্গলবার (২ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আশিক বিল্লাহ বলেন,‘সখীপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হামিদ খানের মরদেহে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা( গার্ড অব অনার) দিতে ওই উপজেলোর নারী ইউএনওকে বাধা দিয়েছেন কাদের সিদ্দিকী। সেসময় তিনি এক জন পুরুষ কর্মকর্তাকে গার্ড অব অনার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কাদির সিদ্দিকীর এই ঘৃণিত কাছ রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনে বাধা দান এবং একজন সরকারী কর্মকর্তার ওপর অর্পিত কর্তব্যের প্রতি বেআইনি চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে নারীর মানবাধিকারের প্রতি পদাঘাত তুল্য নৈতিক অপরাধ। সে কারণে দেশের উচ্চ আদালতের এখতিয়ার রয়েছে এই প্রশ্নে স্বেচ্ছাপ্রণোধিত হয়ে কাদের সিদ্দিকীর কাছে এ ঘটনার কৈফৎ তলব করার। আশা করছি আদালত কাদের সিদ্দিকীর এই অন্যায় কাজের আইনি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রদক্ষেপ নেবেন। তাকে আদালতের কাঠঘড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য করা হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলা হয়, নারীর প্রতি এ ধরণের আচরণ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং দেসবাসীর প্রতি অবমামনা কর। কেননা- পাকিস্তান ছিল একটি আপাদমস্তক স্বৈরতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ওই রাষ্ট্রে নারী-পুরুষের মধ্যে আকাশ-পাতাল বৈষম্য ছিল। পূর্বপাকিস্তানের জনগণের প্রতি শোষণ নিপীড়ন ছিল। সেই বৈষম্য নিরসন করার লক্ষে এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও ক্ষমতায়নের স্বপ্ন নিয়েই ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী কি সেই চেতনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কথা ভুলে গেছেন?
ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পক্ষে ডেমোক্রেটিক পার্টি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS