নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সংখ্যালঘুদের ভূমি দখলকারী একজন ভূমিদূস্য। তাকে সহযোগীতা করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান সরাসরি এই মসজিদ নির্মানে সহযোগীতা করছেন। আমার পিতা অতুল সরকার নামীয় ১৪ শতক ভূমি যা মৌজা : বরগুনা জে এল নং ৩০ খতিয়ান নং : এম এ ৮৭০ এবং ২২৪ এবং ১২৫ দাগের ১৪ শতক ভূমি সদর উপজেলার সামনে অবস্থিত। বরগুনা-১ আসনের আলীগের সংসদ (ঠিকাদার দিয়ে আমাদের জমিতে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন। আমাদের ानान ভূমি (কান ক্ষতিপুরণ এবং অধিগ্রহণ ছাড়াই বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কৌশলের স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় এই অপকর্মগুলো করে যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও এমপির কাছে গিয়েও কোন সমাধান ान । গত ২০ মার্চ ২০১৪ ইং তারিখে আমেরিকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ (HRCBM) এর একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাপল পরিদর্শন করে। এই সময় জমির মূল মালিক অতুল সরকারের পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেন। অতুন সরকারের পরিবার জানায়- গত ১৫ বছর যাবৎ এমনি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি কোন সমাধান পাইনি। পরে বাধা হয়ে একটি মামলা করি যা হাইকোর্টে চলমান। HRCBM প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসে গেলে তারা জানান, উপজেলা নির্বাহী অमিার মোহাম্মাদ কাওসার হোসেন ঢাকায় আছেন। নির্বাহী অফিসারে সহকারী বলেন, জমিটি অধিগ্রহণের কাজ চলছে অভুল সরকারের ছেলে দিলীপ সরকারকে পরের দিন অফিসে আসার জন্য অনুরোধ করে, তাহলে আমি বর্তমান পরিস্তিতি সম্পর্কে জানাবে এবং অধিগ্রহণের কাগজপত্রগুলো অতুল সরকারের পরিবারে হাতে ভুলে দিবে। কিন্তু পরের দিন অতুল সরকারের ছেলে অফিসে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমকি দিয়ে বলে আপনি কেন মামলা করেছেন মামলা দিয়ে কী জমি আপনি পাবেন। কিছুই করতে পারবেন না-এই বলে HRCBM এর প্রতিনিধি দল বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য দেবনাথ শম্ভুর বাড়িতে গেলে এমপি জ জমি উদ্ধারে সকল সহযোগীতা করা হবে। কিন্তু পরের দিন গত ২১শে মার্চে ২০১৩ ইং রাতে এমপি, উপজেলা নির্বর্তী অফিসার, এবং পুলিশের উপস্থিতিতে জমির উপর মালিকানাধীন লিখিত সাইনবোর্ড উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং অতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় তোরা পারলে আমি আটকিয়ে রাখিস। মসজিদের ঠিকাদার কমিশনার জালাল সংখ্যালঘু পরিবারটিকে এই বলে হুমিক দেয় যে যদি কাজে বাঁধা দিস তাহলে তোদের চাঁদাবাজি মামলায় জেলে ঢুকিয়ে দেখ।
HRCBM এর প্রতিনিধি দল বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে ২০০৮ সালের জেলা প্রশাসনের দেওয়া সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন করার অনুরো করলে জেলা প্রশাসক বলেন আমি মনে করি ২০০৮ সালের এই আবেদন গুলো ঠিক না। আপনারা কোর্টে গেছেন সেখান থেকে ওর্ডার নিয়ে আসেন তাহলে তুমি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। HRCBM এর প্রতিনিধি দল বরগুনার জেলা প্রশাসক
হাবিবুর রহমানকে প্রশ্ন করে জানতে চান যে মামলা চলমান অবস্থায় কিভাবে মডেল মসজিদ তৈরি কর হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
২০০৮ সালের জেলা প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবাটি সমস্যা সমাধানের দারস্থ হলে জেল প্রশাসনও ভুক্তভোগী পরিবারটির সমস্যা সমাধানে সুপারিশ করেন। গত ৩০শে জানুয়ারি ২০০৮ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিস বরগুনা সদর এই বনে সমারিশ করেন যে, ‘যেহেতু উক্ত ০.১৪ একর জমি ব্যক্তি মালিকানাধীণ আবার উপজেলা পরিষদের সীমানার মধ্যে সেহেতু উপজেলা পরিষদের অনুকূলে অধিগ্রহ গ্রহণ করার প্রস্তাব দেয়া যায় অথবা সীমানা নির্ধারণ পূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরগুনা সদ মহোদয়ের সম্মতি সাপেক্ষে মালিক বরাবর ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। ইহা মহোদয়ের সদয় অবগতি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রেরণ করা হলো কিন্তু আজ অবধি এর কোন বাস্তবায়ন হয়নি।
এমতাবস্থায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে-
১. সংখ্যালঘু পরিবারটির জমি ফিরত দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
২. অথবা জমিটি অধিগ্রহণ করে মসজিদ নির্মাণ করা হোক এবং বর্তমান বাজার মূল্য প্রদান করা হোক
৩. সংখ্যালঘু পরিবারিটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS