নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবস্থান কর্মসূচির শুরুতে আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. মাঈন উদ্দিন ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন ” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং বেসরকারি কলেজের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করেন।
তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার একশরও বেশী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন । ২০১৮ খ্রি. এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণের বেতন ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন । এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকী ব্যাতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব।
২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ রাজপথে অবস্থান করছেন ৯ মার্চ থেকে প্রতীকী অনশন পালিত হয় এবং ১৫ মার্চ থেকে আমরণ অনশন করতে শুরু করলে রাতে অবস্থান করতে প্রশাসনের পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা আসায় তা স্থগিত করে পুনরায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। পাশাপাশি ১২ থেকে ১৬ মার্চ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তিন ঘন্টার কর্মবিরতি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারিগণ বলেন “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিগণের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। বৈষম্য গুলো হলো- বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা।
অবসর ও কল্যাণ ট্রাষ্টে শিক্ষক- কর্মচারিগণের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০% করে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলী ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা একজন শিক্ষক ২৫% উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারিগণ জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষনা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS